সভাপতি-সম্পাদকসহ ৭ পদ পেল বিএনপি সমর্থিতরা

জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১১টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টিতে বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল জয়লাভ করেছে। সহ-সভাপতিসহ তিনটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল। আর একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে রাত পৌনে ৮টার দিকে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করেন।

নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তালুকদার ওরফে তরুণ। তিনি পেয়েছেন ১২৪ ভোট। ওই পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল (পিপি) পেয়েছেন ৮৮ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের শাহনূর রহমান শাহীন ১৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুশান্ত কুমার মহন্ত পেয়েছেন ৮২ ভোট।

এ ছাড়া বিএনপি-সমর্থিত প্যানেলের জয়ী প্রার্থীরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আলমগীর কবির (১১০ ভোট), অর্থ সম্পাদক পদে এ কে এম আবু সুফিয়ান পলাশ (১২৩ ভোট), নিরীক্ষা সম্পাদক পদে আব্দুল মোমিন ওরফে হামিদুল (১৩৩ ভোট), সদস্য পদে শহীদুল ইসলাম- ৩ (১০৫ ভোট) ও সোহেলী পারভীন (১২৭ ভোট)।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের বিজয়ী তিন প্রার্থী হলেন- সহ-সভাপতি হাফিজার রহমান (১১০ ভোট), গ্রন্থাগার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ইউছুফ আলী (১২০ ভোট) ও আপ্যায়ন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মুহাইমিনুল হক সিদ্দিকী তানরাজ (১১৮ ভোট)। এ ছাড়া সদস্য পদে স্বতন্ত্র থেকে গোলাম মওলা ১২৭ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সমিতির ভবনে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২১৯ জন, তাদের মধ্যে ২১৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

নির্বাচনে জেলা বারের আইনজীবী আব্দুর রহমান- ২ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া আইনজীবী নুরুন্নবী মল্লিক, শফিউল আলম, সৈয়দ ফিরোজ খান নুন নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। বিজয়ীরা আগামী এক বছরের জন্য জেলা আইনজীবী সমিতির দায়িত্ব পালন করবেন।

চম্পক কুমার/এমজে