হত্যা মামলার আসামি ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন ওরফে হাতকাটা মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সোনাপুর ও ইছাপুরা গ্রামে তিন গ্রুপের বিরোধের সূত্র ধরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইছাপুরা ছোট বটতলা থেকে হেঁটে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ গ্রাম সোনাপুরে যাচ্ছিলেন ইউপি সদস্য মামুন। পথে ৫ থেকে ৭ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় কেউ যেন ধরা না পরে সে জন্য হত্যাকারীরা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বিজ্ঞাপন
ইউনিয়নের দফাদার আব্দুর রহিম বলেন, খবর পেয়ে আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই। তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। কারা হত্যা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
চেয়ারম্যান এস এম শফিকুর রহমান বলেন, নিহত ইউপি সদস্য দুটি হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মাদক মামলার আসামি ছিলেন। এলাকার তিনটি গ্রুপের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। কী কারণে ও কারা হত্যা করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট নিয়ে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
বিজ্ঞাপন
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান জানান, জহিরুল ইসলাম মামুন ফরিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। তবে ২০১৬ সালের ১২ জুন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিনকে হত্যায় জড়িত থাকায় কেন্দ্রের নির্দেশে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। নিহতের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এর আগে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ভাতশালা এলাকার বাসিন্দা সবুজের নেতৃত্বে মামুনকে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রাখা হয়। সেই ঘটনার চিকিৎসা শেষে এলাকায় ফেরার পর পুনরায় কুপিয়ে হত্যা করা হলো তাকে। নিহত মামুনের বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ২২টি মামলা ছিল বলে জানা গেছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এএএ