দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।

এছাড়াও নবম জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি বিএনপির প্রার্থীর কাছে ভোটে হেরে যান। এরপর দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের টিকিট পাননি তিনি। তবে এবার তাকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

পেশাগতভাবে চিকিৎসক ডা. মুশফিক হুসেনের বাৎসরিক আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে কৃষিখাতে ২৬ হাজার টাকা। বাৎসরিক বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯ টাকা। ব্যবসা থেকে আসে ১ লাখ। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংকে আমানত রয়েছে ১১ লাখ ৬ হাজার ২৭৭ টাকা। চাকরি থেকে তার বাৎসরিক আয় ৫ লাখ ২০ হাজার ২শ’ টাকা। অন্যান্য ক্যাটাগরিতে তার আয় ৩ লাখ ১৩ হাজার ৮২৭ টাকা।

নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য জানা যায়। হলফনামার (ক) অস্থাবর সম্পদের বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়- ডা. মুশফিক হুসেনের নগদ টাকা আছে ৫১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭৭ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা আছে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৫০২ টাকা। অর্জনকালীন সময় ও মূল্য অনুযায়ী বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৩৭ লাখ ৮ হাজার ৭শ’ টাকার। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে ও স্থায়ী আমানতে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে তার। অর্জনকালীন সময় ও মূল্য অনুযায়ী ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি গাড়ি রয়েছে।

তার হলফনামায় অর্জনকালীন মূল্য অনুযায়ী ৯০ হাজার টাকার ৩০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র উল্লেখ করা হয়। হলফনামার (ক) অস্থাবর সম্পদের বিবরণীর অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮০ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

(খ) স্থাবর সম্পদ হিসেবে অর্জনকালীন মূল্য অনুযায়ী ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীর রয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকার কৃষিজমি। হবিগঞ্জ শহরের পুরাণ মুন্সেফী এলাকায় রয়েছে ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৫শ টাকা মূল্যের চারতলা একটি দালান। ঢাকায় ৬ তলা ফাউন্ডেশনের পাঁচতলা একটি বাড়ি রয়েছে তার। যার মূল্য ২ কোটি ৩০ লাখ ৫ হাজার ৬৮৬ টাকা।

আজহারুল মুরাদ/পিএইচ