আয়ের কোনো উৎস নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের
মেহেরপুর-২ আসনের দুইবারের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের আয়ের কোনো উৎস নেই। তার কোনো বাড়ি, গাড়ি ও কৃষি জমিও নেই। তবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি যৎসামান্য আছে বলে উল্লেখ করেছেন তার নির্বাচনী হলফনামায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি ছাড়া তার আর কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। তবে ২০১৩ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় তার এবং তার স্ত্রীর কোনো স্থাবর সম্পত্তি ছিল না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। এখন তা কমে শূন্যে দাঁড়িয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেছেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।
বর্তমানে মকবুল হোসেনের বার্ষিক কোনো আয় নেই। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তার ও স্ত্রীর জমানো কোনো টাকাও নেই। নগদ টাকা রয়েছে মাত্র ৩ লাখ ও স্ত্রীর ৫০ হাজার। গৃহস্থলীর সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে তার স্বর্ণ রয়েছে ৪০ ভরি এবং তার স্ত্রীর স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি। তিনি কৃষি খাতে ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে রেখেছেন।
বিজ্ঞাপন
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল ব্যবসা। নগদ ছিল ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিল এবং গৃহস্থলীর সামগ্রী ছিল ৫০ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি এবং স্বর্ণালংকার-নগদ অর্থ ছিল না।
মকবুল হোসেনের বর্তমান স্থাবর সম্পদ বলতে যৌথ মালিকানার তিন কাঠা জমি এবং যৌথ মালিকানার পাকা দোতলা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই। অবশ্য দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।
এদিকে মকবুল হোসেনের আদৌ কোনো অর্থ সম্পদ নেই নাকি হলফনাময় দেওয়া তথ্যে সম্পদের বিষয়টি গোপন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মেহেরপুরের সাধারণ মানুষ।
এমএ