দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকীকে হত্যার হুমকি ও তার কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। 

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে ডোমার পৌর শহরে ছোটরাউতায় তার নিজ বাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ফেরদৌস পারভেজ নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন তিনি।

ফেরদৌস পারভেজ ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দীন সরকারের ভাতিজা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জাফর ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার বেলা ১১টার দিকে আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ডিমলা বিজয় চত্বরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে যায়। এরপর ফেরার পথে আমাকে ও আমার কর্মী সমর্থকদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন পারভেজ। এক পর্যায়ে আমার এক কর্মীকে চর থাপ্পড় মারেন তিনি। এরপর হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি এটা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করি তাহলে আমাকে ও আমার কর্মীদেরকে প্রাণে মেরে ফেলবে। পরে আমি ডিমলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তার বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে আমি নির্বাচনে যাব। আর যদি তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া না হয় তাহলে আমি নির্বাচনে যাব না। আমি পুলিশকে বলে এসেছি যদি আপনারা কোনো ব্যবস্থা না নেন তাহলে দেশের সবচেয়ে বড় গাদ্দার আপনারা হবেন। কারণ আপনাদের ডিউটি দেশকে বাঁচানো। শেখ হাসিনা দেশটাকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আপনারা যদি কোনো পদক্ষেপ না নেন তাহলে মনে করবো শেখ হাসিনাকে যারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আপনারা সহযোগিতা করছেন। শেখ হাসিনা খুব ভালো একজন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার সঙ্গে কিছু এমপি আছে তারা আসলে এমপি হওয়ার যোগ্য না। 

জাফর ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, ২০১৮ সালে আমার গাড়িতে তারা আক্রমণ করেছিল। এবার তারা আরও বেশি উগ্র হয়ে গেছে। এমন কোনো অপরাধ নেই যেটা তারা করেন না। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বদনাম হচ্ছে শেখ হাসিনার। এজন্য আমি বলব, এরা শেখ হাসিনার শত্রু।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আফতাব উদ্দীন সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, তারা তো অভিযোগ করবেই। অভিযোগ করার জন্য নির্বাচনে এসেছে তারা। তাদের শুধু এই একটাই কাজ অভিযোগ করা। আর এরকম কোনো ঘটনা ঘটে নাই।

ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে ওই প্রার্থী জিডি করেছেন। জিডির যে প্রসিডিউর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

শরিফুল ইসলাম/এএএ