দীর্ঘ ১ মাস ২৪ দিন বন্ধ থাকার পর খুলল কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কার্যালয়ে আসেন দলের নেতাকর্মীরা।

এর আগে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকেই কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয় বন্ধ ছিল। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্কে দলের কোনো নেতাকর্মীকে কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি।

শনিবার বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জেলা বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন এবং প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিরুজ্জামান।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল হুসাইন, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কমিশনার হানিফ উদ্দিন রনক, জেলা বিএনপির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সারওয়ার আলম, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন ছোটন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুর রহমান মাসুদ, পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি এস এম মিনহাজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সুজন প্রমুখ। 

জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, এই সরকার গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়ে দিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। আজ কথা বলার অধিকার নেই। যে কথা বলার অধিকারের জন্য ১৯৭১ সালে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল বাঙালি জাতি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও বিজয়ের স্বাদ এখনো উপভোগ করতে পারেনি এ দেশের জনগণ। আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়িতে তো থাকতে পারছে না। এমনকি আমাদের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত খুলতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, শনিবার সকালে আমাদের জেলা বিএনপি যুব বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমনের বাবার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাক বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল। ভিপি সুমনকে তার বাবার স্বাধীন করা দেশে বিজয় দিবস পালন করতে দেওয়া হয়নি। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে!

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিরুজ্জামান বলেন, দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসেছে। এই সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। 

শনিবার জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি উদ্যোগে বিজয় মিছিল শেষে পাকুন্দিয়া পৌরসভা ভবন সংলগ্ন এক পথ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি এসএম মিনহাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন।

এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিজয় মিছিল ও দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

মোহাম্মদ এনামুল হক হৃদয়/এএএ