রান্নাঘরে পুঁতে রাখা এক নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় রান্নাঘরে পুঁতে রাখা এক নারীর (২২) গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে শহরের মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার পূর্ব ক্যানালপাড়ার মুরাদ আলীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

বাড়ির মালিক মুরাদ আলী বলেন, শহরের ভেতর আমার একটা বাড়ি আছে। সেই বাড়িতে বসবাস করি। আর মোল্লাতেঘরিয়া এলাকায় জিকে ক্যানালের পাড়ের পূর্ব ক্যানালপাড়ার বাড়িটি ভাড়া দেওয়া। টিনশেড ওই বাড়িটি গত ১৫ জানুয়ারি আল আমিন নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবকের কাছে প্রতিমাসে এক হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছি। সেখানে তার স্ত্রী রিমি ও তিনি বসবাস করতেন। 

এর মধ্যে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে আলামিন আমাকে জানায়- তার স্ত্রী রিমি মায়ের বাড়িতে গেছে। রিমির মা খুব অসুস্থ। এরপর মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে বাড়িতে তালা দেওয়া। তাদের খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির তালা ভেঙে ফেলা হয়। এরপর পচা গন্ধ পাওয়া যায়। তারপর পুলিশ এসে গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। 

তিনি আরও বলেন, তাদের ভোটার আইডি কার্ড বা কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই। আলামিন বলেছিল তার বাড়ি খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বসা কুষ্টিয়া গ্রামে। তার স্ত্রী রিমির বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। আলামিন মাছের আড়তে কাজ করতেন এবং রিমি একটা ক্লিনিকে কাজ করতেন বলে জানিয়েছিলেন আমাকে। গলিত মরদেহটি আলামিনের স্ত্রী রিমির হতে পারে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় একমাস ধরে ভাড়াটিয়ারা বাড়িতে না আসায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই বাড়ির গেটের তালা ভেঙে ফেলা হয়। আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে গেলে রান্নাঘর থেকে পচা গন্ধ ও মাছি উড়তে দেখে মাটির নিচে কিছু আছে বলে সন্দেহ করেন। পরে বিষয়টি থানায় জানালে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, মরদেহটি পচে যাওয়ায় এখনও শনাক্ত করা যাচ্ছে না আসলে এটা রিমি কিনা। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রাজু আহমেদ/আরএআর