নির্বাচনী প্রচারণায় চাচাতো ভাইদের মারামারি, আহত ৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদের সমর্থকদের মোটরসাইকেল বহর ঘিরে ধরে লিফলেট ছিনতাই ও প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এদিকে, এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারিতে শামীম হকের দুইজন ও একে আজাদের একজন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাকের মোড়ে লিফলেট ছিনতাই ও দুপুর দেড়টার দিকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদপুর মহল্লায় মারামারির ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
মাহমুদপুর এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার মুন্নু মাতুব্বর এ কে আজাদের সমর্থক। অন্যদিকে মুন্নুর ভাই রশিদ মোল্লা শামীম হকের সমর্থক। আদালতে শামীম হকের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষিত হওয়ার খবর শুনে রশিদ মোল্লার দুই ছেলে আসাদ মোল্লা ও আইয়ুব মোল্লা আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন। এসময় মুন্নুর দুই ছেলে রনি মোল্লা ও কাইয়ুম মোল্লার সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও পরে মারামারি শুরু হয়।
এতে রশিদ মোল্লার দুই ছেলে আসাদ মোল্লা ও আইয়ুব মোল্লা এবং মুন্নুর ছেলে রনি মোল্লা আহত হন। আহত আসাদ মোল্লা ও আইয়ুব মোল্লাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রনি মোল্লাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
কাইয়ুম মোল্লা বলেন, আমার বাবা ও আমার পরিবারের সবাই এ.কে. আজাদ চাচার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছি। আমার বাবা নান্নু মোল্লা এই সেন্টার কমিটির সভাপতি। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আমার বড় ভাইয়ের মুদি দোকান খুলতে আমি দোকানে যাই। দোকান খুলব এমন সময়ই শামীম হকের সমর্থক আজাদ, আসাদ ও চুন্নু আমার ওপর পেছন থেকে লাঠি দিয়ে হামলা চালায়।
ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুস সালাম শেখ বলেন, যাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে তারা চাচাতো ভাই। শামীম হকের পক্ষে স্লোগান দেওয়ায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে দুপুর ৩টার দিকে পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রাজ্জাকের মোড়ে স্বতন্ত্রী প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রচারণার সময় লিফলেট ছিনতাই করেন শামীম হকের সমর্থকরা।
এ ব্যাপারে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুসরাত রাসুল তানিয়া বলেন, আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বের হয়েছিলাম। আলীপুরের রাজ্জাকের মোড়ে আমরা উপস্থিত হলে শামীম হকের সমর্থকরা প্রায় ২০-২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের ঘিরে ধরে। এ সময় আমরা আলীপুরে এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারব না বলে চলে যেতে বলেন। এ সময় আমাদের কাছে থাকা ঈগল মার্কার লিফলেট তারা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।
১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির তালুকদার বলেন, দুপুর ৩টার সময় আমরা শামীম হকের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলাম। রাজ্জাকের মোড়ে কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না সে সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা আছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জহির হোসেন/কেএ