মানিকগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী মমতাজ বেগম বলেছেন, মানিকগঞ্জের সিংগাইর-হরিরামপুরে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। অসংখ্য রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ হয়েছে। আপনারা যদি নৌকা মার্কায় ভোট দেন, শেখ হাসিনাকে নৌকার এমপি দেন, তাহলে আগামীতে আরও উন্নয়ন হইবো ইনশাআল্লাহ। তবে এতো উন্নয়নের পরও যদি মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট না দেন তাহলে শেখ হাসিনা বড়ই বেজার হইবো। শেখ হাসিনা কষ্ট পাইবো। চিন্তা করবো এই বালি বনে পানি ঢাইলা কোনো লাভ নাই।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লেমুবাড়ি বিনোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মমতাজ বলেন, শত কোটি টাকার কাজ করি, কোনো পার্সেন্টেজ খাই না। যে কারণে আশপাশের দুই-চারজন নেতার খুব বেকাদাও হয়। নিজে না খাইলে অন্যরা খাইতে পারে না। খুব কষ্ট হয় তাদের আমার সাথে চলতে। এই কারণে দুই-চারজন নেতা অনেকবার প্রভাবিত করার চেষ্টা করেও পারে নাই। দুই নাম্বারি কাজ করাইতে পারে নাই। আমাকে দিয়ে পার্সেন্টেজ খাওয়াইতে পারে নাই। তিন থেকে ১০ হাজার টাকা পযর্ন্ত প্রতি মাথা বিক্রি করা হচ্ছে। বড় বড় নেতা হলে তাদের লাখের ওপরে মাথা বিক্রি হয়ে গেছে। এটা কিনছে দুই-চারজন নেতার কাছ থেকে।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের মাথা কিন্তু বিক্রি হয়ে গেছে। নৌকার বাইরে তারা মার্কা নিয়া আসলো ওমুক মার্কা, তমুক মার্কা, ক্ষুর-কাঁচি মার্কা। আপনারা কি নৌকা বাদ দিয়ে এসব মার্কায় ভোট দেবেন? শেখ হাসিনা কিন্তু বিক্রি হয় নাই। তারা শত কোটি টাকা দিয়ে শেখ হাসিনাকে কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু পারে নাই। এখন তারা বাওয়া আওয়ামী লীগ হইছে। ওরা নিয়ে আসছে অন্য মার্কা, মোরগ মার্কা, নারকেল তেল আর ক্ষুর-কাঁচি মার্কা। অতএব এদের থেকে সাধারণ মানুষকে সাবধান থাকতে হবে।

মমতাজ বলেন, বিনয়ের সাথে বলতে চাই, দুই চারজন লাখ লাখ টাকা পাইবো, লাভবান হইবো। আপনার কি হইবো? এই এলাকার উন্নয়নের ক্ষতি হইবো। তাই নিজের ক্ষতি আপনারা নিজে কইরেন না। যারা মাথা বিক্রি করছে তারা যদি আসে,  তাহলে স্পষ্ট বলে দেবেন টাকা দিয়ে আমাদের কিনতে পারবা না।

অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান তসলিম হৃদয়, জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সোহেল হোসেন/আরএআর