আনোয়ার সাদাত সম্রাট /ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দলীয় দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটতে পারে— এমন চিন্তা থেকে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুলকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন জেলা সভাপতি ও রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, যেহেতু আনোয়ার সাদাত সম্রাট পঞ্চগড়-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন, তাই তার পক্ষে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, দলের পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আবু সারোয়ার বকুল ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা আশা করি আবু সারোয়ার বকুল নির্বাচনের সময়ে দলীয় কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। 

এ ঘোষণার পরই উল্লাসে ফেটে পড়েন দলের নেতাকর্মীরা। তাৎক্ষণিক আবু সারোয়ার বকুলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন তারা। অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেন। 

দায়িত্ব পেয়েই আবু সারোয়ার বকুল বলেন, খুবই আনন্দিত। গঠনতন্ত্র মেনে আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দায়িত্ব পালন করব। নির্বাচনকালে দলের কার্যক্রম পরিচালনায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান ভুঈয়া মুক্তাসহ জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান বলেন, দল থেকে বলা হয়েছে যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। উনি (রেলমন্ত্রী) বহিষ্কার করার কে? এটা তো বুঝলাম না। আমার ধারণা তিনি স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর আনোয়ার সাদাত সম্রাট সাংবাদিকদের বলেন, তিনি (রেলমন্ত্রী এমন সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। এটা একটা মনগড়া সিদ্ধান্ত। দলীয় গঠনতন্ত্রে এমন ক্ষমতা কাউকে দেওয়া হয়নি। এমন সিদ্ধান্ত হলে সারা দেশের জন্য হবে, শুধু পঞ্চগড়ের জন্য কেন? দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্ত ও বিভ্রান্তিতে ফেলতেই এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তিনি।

এসকে দোয়েল/কেএ