রংপুরে মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ, সাংবাদিককে মারধর
রংপুর মহানগরীতে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। হরতালের সমর্থনে বের করা মিছিল থেকে আতঙ্ক ছড়াতে নগরীর দুটি স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
এ সময় হরতাল আহ্বানকারীরা এক সাংবাদিককে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে নগরীর সিটি বাজার সড়ক সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে নগরীর সিটি বাজার সংলগ্ন সড়ক থেকে হরতালের সমর্থনে একটি ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর আজাদ হোমিও হলের কাছে পাঁচপীরের দরগাহ এসে শেষ হয়। এ সময় মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন মিছিলকারীরা। ককটেল বিস্ফোরণের ভিডিও করার সময় দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি আবু আসলামকে মারধর করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর মহানগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, এ রকম ঘটনা শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এরপর বিস্তারিত বলতে পারব।
বিজ্ঞাপন
এদিকে শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হরতাল কর্মসূচি সফল করার জন্য রংপুর মহানগরবাসীসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে অনুরোধ জানিয়েছে যুবদলের আহ্বায়ক নুরুন নবী চৌধুরী মিলন ও সদস্যসচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন ও সদস্যসচিব নুর হাসান সুমন এবং ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান খাঁন সুজন ও সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম।
ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডনের মুক্তির দাবিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এই হরতাল ডেকেছে।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর