সারাদেশে একের পর এক রেলপথে ও ট্রেনে নাশকতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেনীতে রেলপথে জনগণের জানমাল রক্ষায় টহল দিচ্ছে আনসার সদস্যরা। জেলার ২৮ কিলোমিটার রেলপথে ১১০ জন আনসার সদস্য নজরদারিতে নিয়োজিত রয়েছেন। তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তি এবং তার সঙ্গে বহনকৃত ব্যাগ তল্লাশি চালাচ্ছেন, যাতে দুষ্কৃতিকারীরা কোনো প্রকারের দাহ্য পদার্থ এবং অবৈধ মালামাল বহন করতে না পারে।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী আনসার ভিডিপির পরিচালক (অ. দা.) মো. জানে আলম সুফিয়ান ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলপথের নিরাপত্তায় পালা করে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ২ জন আনসার সদস্য ও ৩ জন গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। জেলার ৫টি ইউনিয়নের রেলপথ অংশে তারা কাজ করছে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সহযোগিতা করছে।

ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শাকা বলেন, সারাদেশে বিএনপি জামায়াত রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে নাশকতা শুরু করেছে। তাদের নাশকতা থেকে রেলপথ রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২ জন আনসার সদস্যের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৩ জন গ্রাম পুলিশ দেওয়া হয়েছে। তারা ৫ জন করে ২ শিফটে রেলপথ পাহারা দিচ্ছে। 

শর্শদি ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফতেহপুর এলাকা ও রেলপথের এ অংশে নাশকতা ঠেকাতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ২টি টিম কাজ করছে। এছাড়া শর্শদি রেলস্টেশনে একটি টিম দায়িত্ব পালন করছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি আমরাও সচেষ্ট রয়েছি।

ফেনী আনসার ভিডিপির পরিচালক (অ. দা.) মো. জানে আলম সুফিয়ান বলেন, ফেনীতে রেলপথে এখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তারপরও রেলপথে রেল ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। প্রতি টিমে সকালে ২ জন ও রাতে ৪ জন আনসার সদস্য কাজ করছে। 

ফেনী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফেনীর ২৮ কিলোমিটার রেলপথ অংশে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এগুলো হলো ঘোপাল ইউনিয়ন, ফাজিলপুর, কালিদহ, শর্শদি ও ধর্মপুর ইউনিয়ন। রেলপথ নিরাপদ রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে। 

তারেক চৌধুরী/আরকে