দিনাজপুরে কমছে তাপমাত্রা, জেঁকে বসছে শীত
দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীত জেঁকে বসছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস, সঙ্গে ঘন কুয়াশা। এতে করে অনেক সময় দিনের বেলায়ও যানবাহনে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে অঞ্চল। সকাল ১০টার দিকে সূর্যের দেখা গেলেও বিকেল ৪টা বাজতে না বাজতেই ফের হারিয়ে যায়।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সোমবার (১ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ ভাগ। এর আগে গতকাল রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউবা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অপরদিকে শীতের কাপড় কেনার ধাক্কা।
ভ্যানচালক সবুজ ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত কয়েক দিন থেকে ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত বেশি হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। ঠিকমতো ভাড়া হচ্ছে না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এখনো শীতের পোশাকই কিনতে পারিনি।
বিজ্ঞাপন
ইটভাটা শ্রমিক আব্দুর রহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন থেকে ঠান্ডা বাতাসে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। ভাটায় কাজে যেতে পারছি না। এভাবে কতদিন বসে থাকব জানি না। কিন্তু কাজ না করলে কে খাওয়াবে।
আরও পড়ুন
এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। তবে দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
ইমরান আলী সোহাগ/এমজেইউ