নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানকে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। চাঁদপুরে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার নির্বাচনী মঞ্চ ভাঙচুর, প্রচার মাইকিংয়ে বাধা এবং নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে এ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা জজ (ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) পারভেজ আহম্মেদ আচরণবিধি লঙ্ঘনজনিত ব্যাখ্যা চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে চেয়ারম্যান সেলিম খানকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১-এ (৫) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করেন।

নোটিশে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি সোমবার চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া পূর্ব নির্ধারিত চাঁদপুর সদর উপজেলার  লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে নির্বাচনী সভাস্থল পৌঁছার পূর্বে নৌকা প্রতীকের সমর্থক হিসেবে আপনার নেতৃত্বে ও উপস্থিতিতে তার নির্বাচনী স্টেজ ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। নৌকা মার্কার স্লোগান দিয়ে আপনি এবং আপনার নেতাকর্মীগণ তার গাড়ি বহরের চারপাশ ঘিরে রাখেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। আপনি তাদেরকে হুমকি প্রদান করে বলেন, ‌‘তোদের সায়েস্তা করার জন্য এক বস্তা অস্ত্র মজুত আছে।’

এছাড়া আপনি আপনার ইউনিয়নের কোথাও ঈগল প্রতীকের মাইকিং, পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ইত্যাদি প্রদর্শন এবং বিলি করতে বাধা প্রদান করেছেন। ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের কেউ প্রচার কাজে গেলেই তাদের বেধড়ক মারধর করে আপনার বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক বেঁধে রাখেন— এই মর্মে তিনি অভিযোগ করেন।

উপরন্তু আপনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক রিপোর্ট ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া অভিযোগ আকারে পেশ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি তার অভিযোগের সমর্থনে সাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছেন।

এমএ