বরিশাল-৫ (সদর) আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনকে সমর্থন জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীরা। এতে সহজেই জয় পাচ্ছেন না নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। 

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রজমোহন বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় সাদিকপন্থীরা রিপনকে সমর্থন দেন। সমাবেশে সাদিক আব্দুল্লাহর বার্তা পৌঁছে দিয়ে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবর উদ্দিন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সন্তান সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে আমরা আজকে এই জনসভায় এসেছি। আমি আহ্বান রাখছি আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনকে বরিশাল মহানগর, সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে বরিশালের উন্নয়ন তরান্বিত করবে।

ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে উদ্দেশ করে  বলেন, বিগত পাঁচ বছর বরিশাল সদর আসনের যিনি সংসদ সদস্য ছিলেন (জাহিদ ফারুক) উনার বাড়ি বরগুনায়। উনার বাড়ি বরিশালে নয়। এজন্য উনি বরিশালের সকল স্তরের মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন। তিনি ব্যালটের মাধ্যমে নয়, বুলেটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চান।

রিপন বলেন, গত কয়েকদিন তিনি আমাকে জানোয়ার বলেছেন। রাজনীতিতে তার সৃষ্টি ২০০৮ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে। অথচ আমার রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে। উনি একাত্তর সালে হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে পাকিস্তানে ছিলেন। যে ব্যক্তি ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিলেন, তিনি বরিশাল থেকে হায়েনা তাড়ানোর কথা বলেন। অথচ তিনি বরিশালবাসীর কাঁধে হায়েনা হয়ে ঝুলে আছেন। আমি স্পষ্ট বলে দিতে চাই, যিনি একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারের সহযোগী ছিলেন, বরিশাল থেকে আমরা তাকেই তাড়াবো। পাঁচ বছর আগে বলেছিলেন ভাই ভাই, গত পাঁচ বছরে ওনার খবর নাই।

কিন্তু আমি নির্বাচিত হতে পারলে আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করবো। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবো। বরিশাল হবে তারুণ্যের বরিশাল। বরিশাল হবে উন্নয়নের বরিশাল।

এ সময় মঞ্চে মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর