এজেন্টের সামনে নৌকায় সিল মারতে বলা আ.লীগ নেতাকে খুঁজছে পুলিশ
ভোলার লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ খোকন হাওলাদার এজেন্টের সামনে নৌকায় সিল মারার কথা বলে ভোটারদের হুমকি দেন। তার এমন উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য তাকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে পুলিশ এ অভিযান শুরু করলেও এখনো তাকে আটক করতে পারেনি। পুলিশ বলছে, ভোটারদের উদ্দেশ্য করে হুমকি ও উসকানিমূলক বক্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত ওই নেতা আত্মগোপনে চলে যান। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে লালমোহন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের সাতকানিয়ায় একটি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভোলা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরনবী চৌধুরী শাওন উপস্থিত ছিলেন। তার উপস্থিতিতে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ খোকন হাওলাদার ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রত্যেক ভোটার আমাদের এজেন্টদের সামনে সিল মারবেন, যে ভোটার মারবেন না তার সঙ্গে নির্বাচনের পর দেখা করব।
বিজ্ঞাপন
ভোটারদের উদ্দশ্যে এমন উসকানিমূলক বক্তব্যের এক মিনিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বুধবার রাত থেকে লালমোহন থানা পুলিশের একটি টিম আওয়ামী লীগের এ নেতাকে খুঁজছেন। তাকে আটকের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ফয়েজ উল্লাহ খোকন হাওলাদারের বক্তব্যটি আমাদের নজরে আসার পর লালমোহন থানা পুলিশকে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় খোকন হাওলাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
একই আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, খোকন হাওলাদারকে আটকের বিষয়টি চোর-পুলিশ খেলার মতো। দল থেকে নৌকা প্রতীক পাওয়া প্রার্থী নূরনবী চৌধুরী শাওন প্রভাব খাটিয়ে খোকন হাওলাদারকে আটক না করার জন্য পুলিশকে বলেছেন। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকার কথা থাকলেও প্রশাসন প্রকৃতপক্ষে নিরপেক্ষ নেই। নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও কর্মীরা প্রতিনিয়ত ভোটারদেরকে হুমকি দিচ্ছেন।
এএএ