ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের একটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের কর্মীর বিরুদ্ধে ১০ জন ব্যক্তিকে জোরপূর্বক ভোটকেন্দ্রে ঢুকিয়ে নৌকায় ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদের পোলিং এজেন্ট হালিমা বেগম। 

রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে সদরের গেরদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই নম্বর ভোটকক্ষে এ ঘটনা ঘটে। 

হালিমা বেগম বলেন, স্থানীয় নৌকার এক কর্মী ১০ জন ব্যক্তিকে একত্রে ভোটকেন্দ্রে ঢুকিয়ে জোর করে পোলিং এজেন্টের টেবিলের ওপর ওপেনে নৌকা প্রতীকে সিল দেওয়ান। পরে আমি চিল্লাচিল্লি করলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এসে নৌকার ওই কর্মীকে কেন্দ্র থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন।

তিনি আরও বলেন, তখন নৌকার ওই কর্মী প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে বলে ‘ওরা তো এখানের ভোটার। ওরা নিজেদের ভোট ওপেনে দিলে আপনার সমস্যা কোথায়?’ এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে ওই ব্যক্তি কেন্দ্র থেকে সরে যান।

হালিমা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এভাবে যদি বাইরের মানুষকে জোর করে এনে ওপেনে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয় তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন হলো?

এ ঘটনা স্বীকার করে ওই কেন্দ্রের দ্বায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও জনতা ব্যাংক ফরিদপুর শাখার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ওই কেন্দ্রে ৮/৯ জন ভোটার যার যার ভোট সেই সেই দিয়েছে। তবে ওপেনে নৌকায় দিয়েছে বলে ঈগলের এজেন্টের অভিযোগ করেন। তাদের গোপন কক্ষেই ভোট দিতে বলা হয়েছিল।

জহির হোসেন/আরকে