নীলফামারীর চারটি সংসদীয় আসনে বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফলে দুটি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক ও দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

নীলফামারী-১ আসনে বেসরকারি ফলাফলে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফতাব উদ্দিন সরকার। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয় পার্টির তসলিম উদ্দিন লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৬১ ভোট।

নীলফামারী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে ১৫ হাজার ৬৮৪ ভোট পেয়েছেন। লাঙ্গল প্রতীকে শাহাজাহান আলী চৌধুরী পেয়েছেন ৩৮৪৩ ভোট।

নীলফামারী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন পাভেল কাঁচি প্রতীকে ৩৯ হাজার ৩২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা ঈগল প্রতীকে ২৫ হাজার ২০৫ ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির রানা মোহাম্মদ সোহেল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২২৮ ভোট।

নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম কাঁচি প্রতীকে ৬৯ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকে ৪৫ হাজার ৩০১ ভোট পেয়েছেন। জাতীয় পার্টির আহসান আদেলুর রহমান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩১৩ ভোট।

রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। নীলফামারীর চার আসনে মোট ২৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই চারটি আসনে মোট ভোটার ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৫ জন। পুরুষ ৭ লাখ ৫০ হাজার ৪৩০ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৮ জন ভোটার রয়েছেন। জেলার চার আসনে মোট ৫৬৩টি ভোট কেন্দ্রের ৩ হাজার ৩৫৪টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

শরিফুল ইসলাম/এমটিআই