নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান। আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল গোলাপ ফুল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৯ ভোট। 

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসার দেদারুল ইসলাম বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার ও মোট চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন শামীম ওসমান।

এর আগে বহুল আলোচিত এ আসনে বড় ধরনের কোনো গোলযোগ, সহিংসতা ছাড়াই ভোটগ্রহণ হয়। এদিন বিকেলে ফতুল্লার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শামীম ওসমান বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। এমন পরিবেশই চেয়েছিলাম আমরা। জয়-পরাজয় তো আল্লাহর হাতে। আল্লাহ যদি মনে করেন আমাকে দিয়ে জনগণের সেবা সম্ভব, তাহলে তিনি যেন আমাকে জয়ী করেন।

ভোটারদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, আমি এ পর্যন্ত দুটি কেন্দ্রে গিয়েছি। সেখানে ভোটারদের ভালো উপস্থিতি পেয়েছি। নারী ভোটারদেরও সংখ্যাও বেশি। তবে বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও, কেন্দ্রে এলে ভোটারদের লাশ বাড়িতে পাঠানোর স্লোগান দেওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম তো আছেই। 

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শামীম ওসমানসহ চূড়ান্ত আটজন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। শামীম ওসমানের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলী হোসেন, জাকের পার্টির জেলা সভাপতি মো. মুরাদ হোসেন, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলার সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোর্শেদ রনি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী ও বাংলাদেশ জন দলের মহাসচিব মো. সেলিম আহমেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ জেলার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সৈয়দ হোসেন, বাংলাদেশ নাগরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শহীদ উন-নবী ভোটের মাঠে ছিলেন।

পিএইচ