ফেনী-১ আসনে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। 

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ফলে এমনটি দেখা গেছে। 

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ফেনী-১ আসনে ভোটগ্রহণের হার ৫৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩১৫ জন। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

ঘোষিত ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার ইকবাল লাঙ্গল প্রতীকে ৪ হাজার ১৯৫ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হাসেম চৌধুরী ঈগল প্রতীকে ৩২৪ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মো. শাহজাহান শাজু সোনালী আঁশ প্রতীকে ১ হাজার ৪ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদশে প্রার্থী কাজী মো. নুরুল আলম মোমবাতি প্রতীকে ২ হাজার ৫৬৪ ভোট ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মাহবুব মোর্শেদ মজুমদার ছড়ি প্রতীকে ৭৮৮ ভোট পান।

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ফেনী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রথিতযশা সাংবাদিক এবিএম মূসা। এরপর এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ আর কখনও জয়ী হতে পারেনি। ১৯৯১ সাল থেকে ফেনী-১ আসনে পৈত্রিক ভিটা সূত্রে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তারপর সর্বশেষ দুইবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মহাজোটের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে এ আসনে অনেক সংগঠিত আওয়ামী লীগ। আসনটিতে দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রার্থী পেয়ে এবার ৫০ বছরের নির্বাচনী খরা কাটিয়েছে দলটি। 

ফলে দেখা গেছে, ফেনী-১ আসনে নির্বাচনে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম পরশুরাম উপজেলায় ৫১ হাজার ৫৬৯, ফুলগাজীতে ৫২ হাজার ২৮০ ও ছাগলনাইয়াতে ৭৮ হাজার ৯১১ ভোট পান।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসে ১৯৮৬ সালে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার এপিএস হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এই দায়িত্বে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তার সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসিত। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার শক্ত ও সাহসী অবস্থান তখন প্রশংসিত ছিল নেতাকর্মীদের কাছে। ২০০৯ সালে উপসচিব হিসেবে তিনি প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদত্যাগ করে অবসরে যান।

তারেক চৌধুরী/জেডএস