দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের ৪টিতে আওয়ামী লীগ ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে তিনজনই প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। জামালপুর ৪- (সরিষাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল তেজগাঁও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের কাছে পরাজিত হয়েছেন।

রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে জামালপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান তার সভাকক্ষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশিগঞ্জ) আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নূর মোহাম্মদ (নৌকা) পেয়েছেন ২ লাখ ২৮ হাজার ২৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম আবু সায়েম (লাঙ্গল) প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৬ হাজার ৭০ ভোট। বিজয়ী নূর মোহাম্মদ প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) নৌকার প্রার্থী ফরিদুল হক খান দুলাল (নৌকা) পেয়েছেন ৭০ হাজার ৭৬২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (কাঁচি) পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৪৮ ভোট। ফরিদুল হক খান টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য হলেন।

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) নৌকা প্রার্থী মির্জা আজম (নৌকা) পেয়েছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫০ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মীর সামছুল আলম লিপটন পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৭০ ভোট। মির্জা আজম তিনি সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য হলেন।

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ি) স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হেলাল পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট। 

জামালপুর-৫ (জামালপুর সদর) প্রথমবারের মতো আবুল কালাম আজাদ (নৌকা) ২ লাখ ১৫ হাজার ৮৮৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনু পেয়েছেন ৬৫ হাজার ২৪৯ ভোট।

জামালপুর জেলা রিটার্নিং অফিসের সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫টি আসনে ১০টি রাজনৈতিক দলের ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬২০টি এবং কক্ষের সংখ্যা ৩৭৮৩ টি। ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৬ জন। 

রকিব হাসান নয়ন/আরকে