বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে চিকিৎসক হবেন। বিয়ে করে বউ আনবেন হেলিকপ্টারে। বাবার সেই স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে বাড়িতে বউ আনলেন ইন্টার্ন চিকিৎসক তৌফিকুল ইসলাম রনি। নববধূ নীলিমা আফরিন নওমীও ইন্টার্ন চিকিৎসক। 

শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে শরীয়তপুরের কাজিয়ারচর থেকে নববধূকে নিয়ে কুয়াকাটা পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বরের নিজ বাড়ি সংলগ্ন একটি মাঠে হেলিকপ্টারে অবতরণ করেন রনি। এ সময় নবদম্পতিকে দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। 

বর তৌফিকুল ইসলাম রনি ও কনে নীলিমা আফরিন নওমী দুজনই ঢাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। বর পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর শহরের মো. মানিক মিয়া ও মোসা. তাজিনুর বেগম দম্পতির ছেলে। কনে শরীয়তপুরের কাজিয়ারচরের মো. নুরুজ্জামান বেপারী ও নাজমুন নাহার দম্পতির মেয়ে।

এ বিষয় বরের বাবা মো. মানিক মিয়া বলেন, আমি দুই সন্তানের বাবা আমার মেয়ে আগেই বিয়ে দিয়েছি। তবে খুব ইচ্ছে ও ভালোলাগার জায়গা থেকেই ছেলের বউ হেলিকপ্টার ও পালকিতে করে এনেছি। মূলত এটি আমার স্বপ্ন ছিল। তারা যেন দাম্পত্য জীবনে সুখে-শান্তিতে কাটাতে পারে সে জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সাফল্য কামনা করছি।

এ সময় বিয়েতে আসা বর ও কনের বন্ধুরা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বলেন, এই বিয়ের সম্পূর্ণ আয়োজন আগেকার গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলেছে। কারণ এখনকার বিয়েতে ঘোড়ায় চরে বর যাওয়া পালকিতে করে বউ যাওয়া এইগুলো সচরাচর কোথাও দেখা যায় না। এই এলাকায় এই প্রথম কেউ হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন। সব মিলিয়ে বিয়েটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। 

এ বিষয়ে বর ইন্টার্ন চিকিৎসক তৌফিকুল ইসলাম রনি বলেন, আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই মূলত হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে আসা। আমার বাবার দুটি স্বপ্ন ছিল একটি হচ্ছে আমাকে ডাক্তার বানানো আরেকটি হচ্ছে আমার বউ হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা। আজ আমি ডাক্তার হয়েছি, ডাক্তার মেয়ে বিয়ে করেছি এবং বাবার স্বপ্ন অনুযায়ী হেলিকপ্টারে করে বউ নিয়ে বাড়ি এসেছি। আজকে আমি ও আমার পরিবার সবাই খুব খুশি। 

হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আয়োজনের খবর আগে থেকেই পুলিশকে অবগত করেছিলেন বর পক্ষ। তাই সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মাঠে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল। উৎসুক মানুষের ভিড় সামলাতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে।

এসএম আলমাস/আরএআর