যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী জেলা জামালপুরের এবার শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় শীতের প্রভাব পড়ছে এ জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে। চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদেরও শীতে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে পথঘাট। তবে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, গত ১০ দিন ধরে প্রায় তীব্র শীত, কাল একটু রোদ ছিল তবে আজ সকালে থেকে শীত বাড়ছে কয়েকগুণ। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তারা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় শিশু ও বৃদ্ধরা। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদিপশুরও।

ইসলামপুরে বেলগাছা এলাকার দিনমজুর চাঁন মিয়া বলেন, আজ সকাল থেকে খুব শীত আর ঘন কুয়াশায় ও বাতাস। গত ১০ দিন ধরে খুব কুয়াশা পড়ছে, সঙ্গে কনকনে শীত। কাজ করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে।

মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী বাজারে রিকশাচালক করিম শেখের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আজ আকাশ থেকে বরফ পড়ছে মনে হচ্ছে, খুব শীত। কোনো কিছুই করতে পারছি না। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৪২ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শীতার্ত মানুষের জন্য আরও কম্বলের বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

রকিব হাসান নয়ন/এমএসএ