মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার কনকপুরে বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যুর পর গুরুতর আহত শিশু ফাহিমও (১২) মারা গেছে।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে শিশু ফাহিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন। এ নিয়ে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রতিবন্ধীসহ ৩ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

নিহত শিশু ফাহিম মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকার মধু মিয়ার ছেলে। তার মায়ের নাম মেঘনা বেগম।

এর আগে ঘটনাস্থলে নিহত হন, শেরপুর সিএনজি সমিতির সভাপতি আবাস মিয়া (৭০) ও প্রতিবন্ধী মধু মিয়া (৬৫) দুজনের বাড়ি সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহতদের মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ও গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তিকৃত আহত ৬ জনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে রেফার্ড করা হয়। 

আহতদের মধ্যে ৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, সুমি বেগম (বিদেশ যাত্রী) বাবা মধু মিয়া, মেঘনা বেগম (৪২), মিম আক্তার (১৮) বাবা আল মামুন, সুমা (৮) ও ফাইজা নামে ৩ বছর বয়সী এক শিশু। আহতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের সবার বাড়ি খলিলপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামে।

মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৌলভীবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি লোকাল বাস শেরপুর যাওয়ার পথে দুর্লভপুর এলাকায় একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হন। 

ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনা-কবলিত বাসচালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে বাস ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। 

ওমর ফারুক নাঈম/এমএসএ