দিনভর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে সিরাজগঞ্জের জনপদ। পাশাপাশি বইছে হিমেল হাওয়া। সকাল থেকেই সূর্যের আলো না দেখা যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর কর্মজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি শীত মৌসুমে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিকে সকাল থেকেই সূর্যের আলোর না দেখা যাওয়ায় কর্মজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

ব্যাটারিচালিত তিন চাকার অটোভ্যান চালিয়ে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন আরমান আলী। এই তীব্র শীতেও যেন পরিবারের সঙ্গে ঘরে থাকার সুযোগ নেই তার। ঢাকা পোস্টকে আরমান আলী বলেন, অনেক দিন হলো খুব শীত, তার উপর আবার ঠান্ডা বাতাস। বাইরের মহাসড়কে চলাফেরা করলে ঠান্ডা আরও বেশি লাগে, ভীষণ কষ্ট হয়। কিন্তু পেটের খিদে তো আর শীত-গরম মানে না। জীবিকার সন্ধানে বের হতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন বাইরে রাস্তাঘাট দেখা গেলেও সকালে এত বেশি কুয়াশা ছিল যে কিছুই দেখা যায়নি। তখন আরও বেশি ভয় করে। দেখতে না পেয়ে এই বুঝি কোনো বড় গাড়ি চাপা দিয়ে চলে যাবে। তারপরও যেহেতু জীবিকা নির্বাহ করতে হবে, বাজার করতে হবে, পরিবারকে খাওয়াতে হবে, তাই কষ্ট হলেও গাড়ি চালাতে হচ্ছে।

তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ ছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েক দিন এমন তাপমাত্রার সঙ্গে শীত ও কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।

শুভ কুমার ঘোষ/এমজেইউ