ফেনীর ছাগলনাইয়ায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন থেকে নিচে পড়ে মো. সাকিল (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পাঠান-নগর ইউনিয়নের ছলেমা নজির উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাকিল গত দুই বছর ধরে অস্থায়ীভাবে ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি হিসেবে কাজ করছিলেন। তিনি পাঠাননগর ইউনিয়নের বাথানিয়া গ্রামের মো. ইলিয়াস সোহাগের ছেলে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ছলেমা নজির উচ্চ বিদ্যালয়ে গত দুই বছর ধরে দপ্তরি (মাস্টার রুলে) হিসেবে কাজ করছিলেন সাকিল। কিছু দিন আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থায়ী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। মঙ্গলবার সাকিল এমপিওভুক্তির কাগজপত্র জমা দেন।

সাকিলের বাবা সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. ইলিয়াস সোহাগ বলেন, এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। গত দুই বছর ধরে সে এখানে মাস্টার রুলে চাকরি করে আসছে। আজকে (মঙ্গলবার) এমপিওভুক্তির জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছে। আবার আজকেই সে মারা গেলো। আমি এ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ের দুই তলা ভবনের উপর পানির লাইন সারাতে ছাদে উঠেছিলেন সাকিল। ওই সময় শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষ ও অফিস কক্ষে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ায় আওয়াজ ও সাকিলের চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি তিনি নিচে পড়ে আছেন। ধারণা করছি, পানির লাইনের সাথে থাকা বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অথবা পা পিছলে নিচে পড়ে যান তিনি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পাঠাননগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মমিন বলেন, ব্যক্তিগত কাজে আমি চট্টগ্রামে অবস্থান করছি। সাকিল খুবই ভদ্র ছেলে ছিলেন। সম্প্রতি তাকে আমরা স্থায়ী নিয়োগের জন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করেছিলাম। বিকেলে হঠাৎ খবর পাই তিনি বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন।

ছাগলনাইয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিদ্যালয়ের দুই তলা ভবনের পানি লাইন খোলা পেয়েছি। এর পাশে একটি বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দেখতে পেয়েছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ও ঘটনাস্থলের আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে গিয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

তারেক চৌধুরী/এসকেডি