তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কমেনি শীত, ফরিদপুরে ২ দিন বিদ্যালয় বন্ধ
তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ফরিদপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও তীব্র শীতের কারণে জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বুধবার ও বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফরিদপুর শহরের চকবাজার এলাকার বাসিন্দা মানিক কুন্ডু (২৫) বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই ফরিদপুরে শীতের তীব্রতা অনেক বেশি। তবু কাজের সন্ধানে বাইরে বের হতে হচ্ছে। তবে সন্ধ্যার পর শহরের রাস্তাঘাটগুলো অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। আমরাও বাইরের কাজ সেরে যত দ্রুত সম্ভব ঘরে চলে আসি।
বিজ্ঞাপন
ফরিদপুরের চরাঞ্চল নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের মোহাম্মাদ মিয়ার ডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা আলমগীর মিয়া (৪১) বলেন, চরাঞ্চলের মানুষের জীবন নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সঙ্গী করেই। গত কয়েকদিন ধরে শীত বাড়ায় বয়স্ক ও শিশুদের কষ্ট হচ্ছে। অনেকেই ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্ডেন মিলে ১ হাজার ১৮৮টি প্রতিষ্ঠানে মোট ২ লাখ ৮২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। পাশাপাশি মাধ্যমিক ও সমমান পর্যায়ের ৩৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫১ হাজার ৭৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তীব্র শীতের কারণে আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ বাড়ছে। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। সবাইকে শীত থেকে রক্ষার জন্য গরম কাপড় ব্যবহার ও প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই উচিত।
জহির হোসেন/এএএ