ময়মনসিংহের নান্দাইলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার ২১ দিন পর আব্দুল জলিল (৬০) নামে এক নৌকার সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

আব্দুল জলিলের বাড়ি নান্দাইল উপজেলার ১০নং শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামে। তিনি ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামের ইমাম হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র মাঠে নৌকার সমর্থক ও ঈগলের সমর্থকের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় শেরপুর ইউনিয়নের মাদারীনগর গ্রামের আবুল কালাম, শামীম ফকির, তাজুল ইসলাম, সুখোর কালাম, পাচঁরুখী গ্রামের আলী আজগর রিয়াদসহ একদল ঈগলের সমর্থক আব্দুল জলিলকে এলোপাতাড়ি মারপিটসহ মাথায় গুরুতর আঘাত করে। পরে স্থানীয় জনতা প্রথমে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ দিন পর রোববার সকালে আব্দুল জলিল মারা যান।

মারামারির ঘটনায় আব্দুল জলিলের ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি নান্দাইল মডেল থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম, সেলিম রানা ও রোকন উদ্দিন নামে তিন জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নান্দাইল মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মজি বলেন, নির্বাচনী বিরোধে মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজন জেলে এবং বাকিরা জামিনে রয়েছেন। মারামারির ধারায় মামলাটি হলেও এখন হত্যা মামলার ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে।

উবায়দুল হক/এএএ