বৃদ্ধকে চড়-থাপ্পড় মারলেন ইউপি সদস্য
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ইউপি সদস্য আরিফুর রহমান আরিফের বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধকে চড়-থাপ্পড় এবং ধাক্কা দিয়ে খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ইউপি সদস্যের দোকান থেকে নির্মাণ সামগ্রী না কেনায় তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ বেল্লাল হোসেন পাটওয়ারী।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কেরোয়া ইউনিয়নের দারোগার পুলের গোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আরিফ কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও একই ইউনিয়নের লামচরী এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। ভূক্তভোগী বেল্লাল একই এলাকার বাসিন্দা। চড়-থাপ্পড় ও ধাক্কায় আহত হয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেল্লালের ভাতিজা সোয়েব উদ্দিন বাড়িতে ভবন নির্মাণ করছেন। সেখানে ইট-বালু-রড ও সিমেন্ট বিক্রির চেষ্টা করেন ইউপি সদস্য আরিফ। কিন্তু সোয়েব তার কাছ থেকে নির্মাণ সামগ্রী কেনেননি। এতে বেল্লালকে প্রায়ই আরিফ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতেন। এর জের ধরেই ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার পথে গতিরোধ করে আরিফ তাকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মেরে ধাক্কা দিয়ে খালে ফেলে দেন তাকে।
ভূক্তভোগী বৃদ্ধ বেল্লাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, “আমার ভাতিজার কাছে নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করতে না পেরেই আরিফ আমাকে মারধর করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ঘটনাটি নিয়ে বক্তব্য জানতে কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরিফুর রহমান আরিফকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি বৃদ্ধকে চড়-থাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, অনুরোধ করলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে যাননি বেল্লাল। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ ও সরকারকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলেন। ঘটনার সময়ও তিনি একই ঘটনা ঘটায়। এজন্য তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছেন তিনি। পরে ধাক্কা লেগে তিনি খালে পড়ে যান। নির্মাণ সামগ্রী বেচা-কেনার বিষয়টি সত্য নয়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর বেগম রেখাকে মোবাইল ফোনে কল দিলে ঘটনাটি শুনেই কেটে দেন। এরপর কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমটিআই