নাটোরের সিংড়ায় এক মুদিদোকানির বাড়ি থেকে টিসিবির ৩৫০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিলদহর বাজারের ব্যবসায়ী শাহ আলম খন্দকারের (২৮) বাড়ি থেকে এই ভোজ্য তেল জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত ২ লিটারের ১৭৫ বোতল সয়াবিন তেল জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা টিসিবির ডিলার রিপন আলীর কাছ থেকে গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে কিনেছিলেন মুদিদোকানি শাহ আলম খন্দকার- এমনটাই দাবি তার। এ ঘটনায় শাহ আলমকে আটক করা হয়েছে। 

র‌্যাব-৫ এর সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সঞ্জয় কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বোতলজাত তেল ড্রামে ঢালছিলেন শাহ আলম খন্দকার। এতে সন্দেহ হলে স্থানীয় এক ব্যক্তি  র‌্যাবকে খবর দেন। বিকেলে র‌্যাব সদস্যরা শাহ আলম খন্দকারের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। তার দেওয়া তথ্য মতে বাড়ির টয়লেট ও খড়ি রাখার ঘর থেকে ২ লিটারের ১১০টি বোতল ও ৬৫টি প্লাস্টিকের খালি বোতলসহ ১৩০ লিটার তেল ভর্তি ড্রাম জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শাহ আলম জানিয়েছেন জব্দকৃত ২ লিটারের ১৭৫ বোতল সয়াবিন তেল তিনি জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা টিসিবির ডিলার রিপন আলীর কাছ থেকে বুধবার রাতে কিনেছিলেন।

আটকের সময় অভিযুক্ত শাহ আলম খন্দকার বলেন, টিসিবির ডিলার রিপন আলীর বাড়ি পাশের সাবগাড়ি বাজার। তাছাড়া বিলদহর বাজারে তার একটি ইলেট্রনিক সামগ্রীর দোকান রয়েছে। পরিচয় ও সুসম্পর্কের কারনে প্রতি ২ লিটারের বোতলজাত তেল ২৯০ টাকায় কিনেছেন তিনি। বাড়তি লাভের আশায় টিসিবির তেল কিনেছেন তিনি।

তবে টিসিবির ডিলার রিপন আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শাহ আলম খন্দকারের কাছে কোনো তেল বিক্রি করিনি। আমাকে ফাঁসাতেই দোকানি নাম বলছেন। 

র‌্যাব কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, আটকৃত ব্যক্তির দেওয়া তথ্য মতে আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় অবৈধভাবে মজুত রাখা টিসিবির পণ্য উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

গোলাম রাব্বানী/আরএআর