সিলেটের গোয়াইনঘাটে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে জামাইয়ের বেধড়ক মারধরে মোহাম্মদ আলী (৭৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি সম্পর্কে তাদের চাচা শ্বশুর হন। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত মোহাম্মদ আলী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের গুলনী গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে মোহাম্মদ আলীর ভাই মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে মিজবাহ উদ্দিনের সঙ্গে আরেক ভাই তারা মিয়ার মেয়ে নিলুফা বেগমের বিয়ে হয়। সম্প্রতি তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ দেখা দিলে নিলুফা তার বাবার বাড়িতে চলে আসেন।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নিলুফার স্বামী মিজবাহ ও সহযোগীরা মিলে নিলুফাকে নিতে তাদের বাড়িতে যায়। কিন্তু নিলুফা স্বামী মিজবাহর সঙ্গে সংসার করবে না এমনটা জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে মিজবাহ ও তার সহযোগীরা নিলুফাকে জোরপূর্বক নিয়ে যেতে চায়। এতে নিলুফার বাবা তারা মিয়া তাদের বাধা দেন।

এ সময় ক্ষিপ্ত মিজবাহ ও তার সহযোগীরা নিলুফার অভিভাবকদের মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে তারা মিয়ার বড় ভাই বৃদ্ধ মোহাম্মদ আলী সেখানে গেলে মিজবাহ ও তার সহযোগীরা তাকেও বেধড়ক মারধর করেন।

পরে স্থানীয় লোকজন মোহাম্মদ আলীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

তুহিন আহমদ/এসপি