ডাক্তার দেখানোর কথা বলে ছোট ভাইকে হত্যায় বড় ভাইয়ের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ছোট ভাইকে গলাটিপে হত্যার দায়ে বড় ভাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম মো. নাজমুল মোল্লা (২৯)। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের দক্ষিণ চরবাগাট গ্রামের বাসিন্দা।
রায় প্রদানের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নাজমুল তার ছোট ভাই তামজিদ মোল্লাকে (১৪) চর্মরোগের জন্য চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে স্থানীয় রায়জাদাপুর বাজারে নিয়ে যান। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তামজিদকে রেখে নাজমুল বাড়িতে ফিরে আসে। তখন বাড়ির লোকজন নাজমুলের কাছে ছোট ভাই কোথায় জানতে চাইলে সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে। পরে স্বীকার করে সে তার ছোট ভাইকে গলাটিপে হত্যা করে দক্ষিণ চরবাগাটের কালিদাসের পাটখেতের পাশে রেখে এসেছে।
এ ঘটনায় ওইদিনই নাজমুলের বাবা মো. অহিদ মোল্লা বাদী হয়ে নাজমুলকে একমাত্র আসামি করে মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে মধুখালী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তোতা মিয়া নাজমুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নওয়াব আলী মৃধা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। মামলার রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই জেনে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
জহির হোসেন/এমজেইউ