অর্থ আত্মসাৎ, খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারীর বিচার শুরু
খুলনায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় জেলা পরিষদের সাবেক প্রধান সহকারী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলামের আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। দুদকের তদন্ত যথাযথ হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। এ সময় তদন্ত শুরুর পর দুই কিস্তিতে ১৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে তিনি নিজেই আত্মসাতে জড়িত থাকার প্রমাণ দিয়েছেন বলে আদালতকে অবহিত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, ২০১২-১৩ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দরপত্র সিডিউল বিক্রি, খেয়াঘাটের ইজারা আদায় ও অননুমোদিত ভ্রমণ ভাতার ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬০৮ টাকা আত্মসাৎ করেন মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মিজানকে গ্রেপ্তার করে দুদক। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলা করেন। এর আগে আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে মিজান দুই কিস্তিতে জেলা পরিষদের কোষাগারে ১৩ লাখ টাকা ফেরত দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর
বিজ্ঞাপন