ময়মনসিংহে টিকটক-জাগো ফাউন্ডেশনের ‘অনলাইন সেফটি আড্ডা’
তরুণদের মধ্যে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ময়মনসিংহে দিনব্যাপী এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। টিকটক ও জাগো ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘সাবধানে অনলাইন-এ’ নামে এক প্রকল্পের অধীনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
প্রকল্পের ময়মনসিংহ পর্বের অনুষ্ঠান হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নগরীর শম্ভুগঞ্জের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আয়োজিত এই ‘অনলাইন সেফটি আড্ডা’য় ১০০ তরুণ-তরুণী অংশ নেয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক হারুন উর রশিদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজনীন সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেন, অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়।
আয়োজকরা জানান, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অসতর্ক, যা নিজের অনলাইন নিরাপত্তার জন্য হুমকি ডেকে আনার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবহারকারীদের ওপর ফেলে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন আচরণের কারণে অনেকেই অনিরাপদ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠার যাত্রায় শামিল হওয়ার জন্য যুবসমাজের মাঝে ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে টিকটক ও জাগো ফাউন্ডেশন।
বিজ্ঞাপন
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা অনলাইন ডোমেনে, বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মসমূহ ব্যবহারের বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত দক্ষতা এবং আচরণগত শিষ্টাচার সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করেছে। টিকটকের সেফটি টুলসগুলোর সঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি অনলাইন কন্টেন্ট তৈরির জন্য বিভিন্ন টিপস এবং কৌশল সম্পর্কেও অংশগ্রহণকারীরা জ্ঞান অর্জন করেছে।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক বলেন, ইন্টারনেটে ভালো-মন্দ দুই ধরনের বিষয়াদি আমরা পেয়ে থাকি। তবে আমরা কে কতটা গ্রহণ করব এবং কতটুকু বর্জন করব সেই ব্যাপারে সবার আগে সচেতন হতে হবে। কিশোর থেকে যুবক বয়স পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক প্রতিকূলতা শিকার হতে হয়। তাই কিশোর-তরুণদের উচিত এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মতামত নেওয়া। আমরা ইতোমধ্যে সোনার বাংলাদেশ গড়ার দিকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আরও সামনে এগিয়ে দিতে পারব বলে আমি আশা করি।
প্রকল্পের অনলাইন ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে অনলাইন সেফটি আড্ডা কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ইতিবাচক কনটেন্ট তৈরির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ১০০ জনের মধ্যে থেকে তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয় এ অনুষ্ঠানে।
উবায়দুল হক/এমএ