ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক ব্যবসায়ী মোরসালিন (২৬) নামে এক যুবকের বস্তাবন্দি মরদেহ আরেক মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোরসালিন শিবনগর গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মো. আব্দুল্লাহ পরিবারসহ পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল হাকিম ভূইয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, মোরসালিন ও মো. আব্দুল্লাহ দুজনই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আব্দুল্লাহর কাছে মোরসালিন ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পেতেন। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে শিবনগর গ্রামের তালু মিয়ার ছেলে সোহেল মোরসালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর সেই রাতে মোরসালিন আর ফেরেননি। পরের দিন রোববার বিকেলে পাওনাদার আব্দুল্লাহর বাড়িতে তার মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল হাকিম ভূইয়া বলেন, শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ ও হৃদয়ের কাছে আমার ভাই ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পেতেন। রোববার সোহেল আমার দোকানের সামনে থেকে ভাইকে ডেকে নিয়ে যায়। সেদিন রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরের দিন রোববার বিকেলে শিব নগরের আব্দুল্লাহর ঘরে আমার ভাইয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। আমার ভাই পোল্ট্রি মুরগির ব্যবসা করত। আব্দুল্লাহ আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। 

আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহর ঘরের তালা ভেঙ্গে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সোমবার নিহতের বড় ভাই আব্দুল হাকিম ভূইয়া আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

এএএ