অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ ও ইনসেটে আহত শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল

সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার ঘটনা তদন্তে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কলেজে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তিন সদস্যের দলটি।

সেখানে তদন্ত করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে সিরাজগঞ্জ ডিবি (গোয়েন্দা শাখা) কার্যালয়ে যান তারা। সেখানে তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য শোনেন।

এ বিষয়ে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে তদন্ত কমিটির তিনজন কলেজে এসে পৌঁছান। এরপর তারা যান কলেজ হোস্টেলে। সেখানে গিয়ে প্রথমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর কথা বলেন হোস্টেলের শিক্ষার্থী ও সহপাঠীদের সঙ্গে। এখানে কাজ শেষ করে তারা ডিবি কার্যালয়ে যান। সেখানে তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

তদন্ত কমিটি কী কী কার্যক্রম পরিচালনা করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কোথাও আমাকে নিয়ে যাননি। তবে এখানকার কাজ শেষ করে চলে গেছেন, এখানে আর আসবেন না।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরের দিকে তদন্ত কমিটির প্রতিনিধি দল ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন। তারা মূলত অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য নিতে এসেছিলেন। আধা ঘণ্টার মতো ছিলেন, এরপর চলে গেছেন। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষক রায়হান শরীফকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

শুভ কুমার ঘোষ/এমজেইউ