খুলনায় আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে নেমেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) ও ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) অভিযানে নেমে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় নগরীর সেফঅ্যান্ডসেভসহ আটটি হোটেল-রেস্টুরেন্টকে শোকজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে চিঠি দিয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে আবাসিক ভবন থেকে রেস্টুরেন্ট অপসারণ না করলে ও প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকলে জরিমানা, প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

কেডিএর সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) শবনব সাবা জানান, ঢাকায় রেস্টুরেন্ট ভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর কেডিএ স্বপ্রণোদিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনা করেছে। এদিন কেডিএ অ্যাপ্রোচ রোড, ইসলাম সড়ক ও নিউ মার্কেটের আশপাশের চারটি ভবনে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায় একটি ভবনেরও ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। অল্প কয়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা কেউ রাখেনি। এগুলো কীভাবে চালাতে হয় তাও অনেকে জানেন না। কয়েকটি ভবনে জরুরি নির্গমন পথও ছিল না। এজন্য ওইসব ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।

এ ছাড়া আবাসিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চারটি ভবনে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে, যা কেডিএর ইমরাত আইনের লঙ্ঘন। এজন্য ওই সব ভবন মালিককে ৪৫ দিনের মধ্যে রেস্টুরেন্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে দেড় মাস পর অভিযান চালিয়ে রেস্টুরেন্টগুলো সিলগালা করা হবে।

তিনি আরও জানান, কেডিএ আগে থেকে ভবন মালিকদের সতর্ক করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে ইমরাত আইনের লঙ্ঘনের কারণে ইতোমধ্যে ৬৬টি ভবনের মালিককে নোটিশ করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ পরিদর্শক মো. হাবিবুল্লাহ, কেডিএর অথরাইজড অফিসার জি এম মাসুদুর রহমান, ইমরাত পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, আব্দুল হান্নান, হাসিব পিয়াসসহ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

মোহাম্মদ মিলন/এসএসএইচ