তৌহিদুর রহমান মানিক

বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে ৮ হাজার ১৩১ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন তৌহিদুর রহমান মানিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিজ্জাকুল রহমান রাজু ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১০টি।

শনিবার (৯ মার্চ) দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে নৌকা থেকে মনোয়ন পেয়েছিলেন তৌহিদুর রহমান মানিক। মনোনয়ন পাওয়ার পর নিয়ম অনুসারে গত বছরের ২৮ নভেম্বর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মানিক পদত্যাগপত্র জমা দেন। ফলে পৌরসভার মেয়র পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এই আসনটি জোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। এ জন্য মেয়র পদটির শিবগঞ্জ পৌরসভায় আজ শনিবার উপনির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, শিবগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনে চারজন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে তৌহিদুর রহমান মানিক খেজুর গাছ প্রতীকে ৮ হাজার ১৩১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিজ্জাকুল রহমান রাজু হ্যাঙ্গার প্রতীকে ভোট পান ৪ হাজার ৪১০টি। বাকি দুই প্রার্থীদের মধ্যে হামদান মণ্ডল ১৭২ ভোট এবং মোবাইল ফোন প্রতীকে আব্দুল খালেক ২১০ ভোট পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১১টি কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়। মোট ভোটার ছিল ১৯ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৯২৩ জন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে শতকরা ৬৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা জানায়, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নাটমরিচাই ভুরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৪ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিন নষ্ট হওয়ায় একটি বুথে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই বুথের ভোটাররা। এ ছাড়া পুরো পৌর এলাকায় ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল।  

২০১৫ সালে তৌহিদুর রহমান মানিক সরকার দলীয় থেকে মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবারের মত শিবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। পরে ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি আবারও শিবগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন।

আসাফ-উদ-দৌলা নিওন/এএএ