দালালে ভরা জয়পুরহাট পাসপোর্ট অফিস, জড়িত কর্মচারী-আনসাররাও
জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিনই কমবেশি বিভিন্ন বয়সী মানুষের আনাগোনা থাকে। সেবা নিতে আসা লোকজনের অভিযোগ, তাদেরকে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি দালালচক্র। তারপরও পাসপোর্টপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালালদের সিন্ডিকেট ভাঙতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেয় না কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া দালালচক্রের দাবি, উপর মহলের (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) আশীর্বাদের হাত রয়েছে এই অফিসে, তাই কেউ কিছু করতে পারবে না।
সম্প্রতি জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দালালদের কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছেন ঢাকা পোস্টের জয়পুরহাট প্রতিনিধি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পদস্থ কোনো কর্মকর্তা, প্রভাবশালী নেতা বা জনপ্রতিনিধি তদবির না করলে অনলাইনে করা আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি জমা দিতে গেলে ভুল থাকার অজুহাত দেখিয়ে পাসপোর্টপ্রত্যাশীদের ঘুরানো হয়। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত টাকা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই হয়রানি থেকে রক্ষা মেলে। অভিযোগ রয়েছে, গ্রাহকদের এসব হয়রানি করেন ওই অফিসের সহকারী লিপটন তালুকদার ও মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু।
বিজ্ঞাপন
অনুসন্ধানে জানা যায়, গড়ে দৈনিক ৩০ থেকে ৫০টি পাসপোর্ট হয়। পাসপোর্ট করতে অনলাইনে করা আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি অফিসে জমা দিতে গেলে হয়রানি করা হয়। কাঙ্ক্ষিত টাকা দিলেই মেলে সেবা। অফিসটি ঘিরে ১০ থেকে ১২ সদস্যের সক্রিয় দালালচক্র গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া দালাল কিংবা বাড়তি টাকা ছাড়া আবেদন গ্রহণ না করলে আনসার সদস্যরা এগিয়ে আসেন। এর বিনিময়ে তারাও অতিরিক্ত টাকায় চুক্তি করেন। এভাবে আনসার সদস্যরাও দালাল হিসেবে কাজ করে থাকেন। এ ছাড়া আরও কিছু সংখ্যক দালাল কাজ করেন। এদের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির লাইসেন্সপ্রাপ্ত কয়েকজন আইনজীবীর সহকারীও (মুহুরি) দালাল হিসেবে কাজ করেন।
তিন ক্যাটাগরিতে পাসপোর্ট, সরকারের নির্ধারিত ফি-তে লাগে যত টাকা
বিজ্ঞাপন
নিয়মিত, জরুরি ও অতীব জরুরি এই তিন ক্যাটাগরিতে পাসপোর্ট সরবরাহ হয়। পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৪৮ পৃষ্ঠার পাঁচ বছর মেয়াদের পাসপোর্টের জন্য (১৫ কর্মদিবস) ৪ হাজার ২৫ টাকা ব্যাংক চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। আর একই পৃষ্ঠার ১০ বছরের জন্য ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। জরুরি পাসপোর্ট (৭ কর্মদিবস) পেতে ৫ বছরের জন্য ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ও ১০ বছরের জন্য ৮ হাজার ৫০ টাকা। এ ছাড়া অতীব জরুরি (২ কর্মদিবস) হলে ৫ বছরের জন্য ৮ হাজার ৬২৫ টাকা ও ১০ বছরের জন্য ১০ হাজার ৩৫০ টাকা ব্যাংক চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।
আবার ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট নিয়মিত ৫ বছরের জন্য পেতে ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ও ১০ বছরের জন্য ৮ হাজার ৫০ টাকা সরকারি ফি দিতে হয়। জরুরি ৫ বছরের জন্য একই পৃষ্ঠার ৮ হাজার ৬২৫ টাকা ও ১০ বছরের জন্য ১০ হাজার ৩৫০ টাকা এবং অতীব জরুরি হলে ৫ বছরের জন্য ১২ হাজার ৭৫ টাকা ও ১০ বছরের জন্য ১৩ হাজার ৮০০ টাকা ব্যাংক চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। এরপর অনলাইন করা আবেদন পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে ছবি ও আঙুলের ছাপ দিতে হয়। তবে সরকার নির্ধারিত টাকার কথা উল্লেখ থাকলেও অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় পাসপোর্টপ্রত্যাশীদের।
আরও পড়ুন
হয়রানিমুক্ত থাকতে দালাল ধরেন পাসপোর্টপ্রত্যাশীরা
দেশের বাইরে যাবেন আব্দুর রহমান। এ জন্য জরুরি পাসপোর্ট পেতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিলেন। আবেদনে সহায়তা নিয়েছিলেন এক দালালের। সরকারি ফি ৮ হাজার ৫০ টাকা হলেও চুক্তি হয়েছিল ফি’র দ্বিগুণ টাকায়। তবে আব্দুর রহমানের ধর্ম ভুল হয়। এটি ধরা পড়ে পুলিশ ভেরিফিকেশনে। সেটি ঠিক করতে ওই দালাল আরও টাকা দাবি করেন। কিন্তু সেই টাকা না দিয়ে আব্দুর রহমান নিজেই পুলিশ ও পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করেন। সেখানে তার ফাইলের কাজ করে নিতে গুনতে হয় আরও টাকা। এরপর তার পাসপোর্ট অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে দেয় অফিস।
হয়রানিমুক্ত থাকতে জরুরি পাসপোর্ট পেতে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করার পরও হয়রানি হতে হয় আব্দুর রহমানকে। এরপর হুঁশ ফিরে তার। ওই দালালের কাছে টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে গত ৬ মার্চ অফিসে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এ অবস্থায় ৭ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন ওই দালাল।
ঢাকা পোস্টকে আব্দুর রহমান বলেন, আমার জরুরি পাসপোর্ট প্রয়োজন ছিল। এজন্য এক ভাইয়ের মাধ্যমে মামুনের (দালাল) কাছে যাই। তিনি জানান, পাসপোর্ট ফি, পুলিশ ভেরিফিকেশন, অফিসের কর্মকর্তা সবার নাকি খরচ লাগে। এসব বলে জরুরি পাসপোর্ট করতে ১৬ হাজায় টাকায় চুক্তি করি। আমি তাকে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু আমার ধর্মের ভুল হয়। সেটি ঠিক করতে নাকি আরও দেড় হাজার টাকা দিতে হবে। পরে আবার পুনরায় তদন্তের জন্য পাঠায়। এরপর আমি মামুনকে টাকা না দিয়ে পুলিশের সঙ্গে নিজেই যোগাযোগ করি। সেখানে ৫০০ টাকা দিতে হয়। পাসপোর্ট অফিসে এসে ফাইল সারাতে ফিঙ্গারের ওখানে বসা পিন্টু নামের একজনকে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। এত কিছুর পর পাসপোর্ট হতে অনুমোদন দেয়।
তিনি আরও বলেন, ৭ মার্চ জরুরি পাসপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসব ঝামেলা হওয়ার কারণে পাসপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। শেষে পাসপোর্ট অফিসের মিন্টু আমাকে বললেন আগামী সোমবারের (১১ মার্চ) দিকে পাসপোর্ট হাতে পাব। এত দেরি হওয়া, আর হয়রানি হওয়ার কারণে আমি ওই দালালকে চেপে ধরে ৭ হাজার টাকা ফেরত নিয়েছি।
আরও পড়ুন
রামবাবু নামের আক্কেলপুরের এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ১০ বছরের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেছিলাম। পাসপোর্ট হাতে পেলাম। ৯ হাজার টাকা লেগেছে। দালাল ধরে করেছি তাই বেশি লেগেছে। অফিসে গেলে হয়রানি হতে হয়, তাই দালাল ধরেছি। ৯ হাজারের মধ্যে দালাল নিয়েছে ৮ হাজার আর পুলিশ ভেরিফিকেশনে এক হাজার টাকা দিতে হয়েছে। দালাল ধরে পাসপোর্ট করার পর কোনো হয়রানি হতে হয়নি।
কালাইয়ের আব্দুল হান্নান নামের সেবাগ্রহীতা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছরের জন্য পাসপোর্ট করতে জমা দিয়েছি ৪ হাজার ২৫ টাকা। দালাল ধরে কাজ করেছি। তাই মোট টাকা দিতে হয়েছে ৬ হাজার টাকা।
রিয়াদ নামের এক যুবক ঢাকা পোস্টকে জানান, তিনি নিজের পাসপোর্ট অনেক আগেই করেছেন। তার এক স্বজনের পাসপোর্ট করতে অফিসে এসেছেন। বাইরে থেকে আবেদন করে ব্যাংক ড্রাফট করে কাগজ জমা দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে গেলে অফিসের লোকজন ঘেুরায়। কিন্তু তাদের হাতে অতিরিক্ত টাকা ধরিয়ে দিলেই সঙ্গে সঙ্গে কাজ হয়ে যায়।
আক্কেলপুরের গোপীনাথপুর এলাকার তরুণ সোহেল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সাড়ে ৮ হাজার টাকা দিয়ে পাসপোর্ট করেছি। এখন আমার সহপাঠী রাব্বি আকন্দের পাসপোর্ট করতে সঙ্গে এসেছি। তার পাসপোর্ট করতে দালালের সঙ্গে ৮ হাজার টাকায় চুক্তি হয়েছে। এখানে ব্যাংকে জমা দিয়েছি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, আর ফিঙ্গারপ্রিন্টের টাকা ওই দালাল অফিসের লোককে দেবে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার জন্য দেড় হাজার টাকা।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের দায়িত্ব নেন দালাল
পরিচয় গোপন করে দালালচক্রের কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। এর মধ্যে একজন দিলিপ বর্মন। তিনি আইনজীবীর সহকারী (মুহুরি)। দিলিপ বলেন, পুলিশ রিপোর্টসহ পাসপোর্ট করে দেওয়া হবে। আলাদাভাবে পুলিশ রিপোর্ট লাগবে না। ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট তেমন হয় না, সব ৪৮ পৃষ্ঠার। রিপোর্টসহ ৯ হাজার টাকা দিলেই হবে। আপনার জন্য ৫০০ টাকা কমানো যাবে। কাগজপত্র নিয়ে আসবেন। পুলিশ যাবে না, কিছু করবে না। একেবারে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন
বিআরটিএ ও পাসপোর্ট অফিসের সুপরিচিত ব্যক্তি (সক্রিয় দালাল) হিসেবে কাজ করেন বিপ্লব হোসেন। সবাই মাল (টাকা) খায়, দেয়, বিভিন্ন জায়গায় মাল চলে যায়। বড় বড় নেতারা সুপারিশ করে, তারাও মাল খায়। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না।
তিনি আরও বলেন, কাউকে আটক করে নিয়ে গেলে উপর মহলের নির্দেশে রাত ১২টা না বাজতে ছেড়ে দেয়। উপর মহলের আশীর্বাদ যখন আছে, তখন কেউ কিছু করতে পারবে না। আমার দুইশ-তিনশ টাকার মালিক আর অফিসের লোকজন ও উপর মহল হাজারের উপর মালিক।
আব্দুল হাই নামের এক ব্যক্তি নিজে পাসপোর্ট করেছিলেন। দালাল ছাড়া আবেদন জমা দিতে এসে তাকে অফিসের লোককে অতিরিক্ত টাকা দিতেই হয়েছে। এরপর তিনি অফিসের লোকের সঙ্গেই সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং অন্যের পাসপোর্ট করে দেন। নিজে না পারলে দালাল ঠিক করে দেন। আব্দুল হাই বলেন, আপনি বাইরে থেকে আবেদন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিলে ৫ হাজার ৭৫০ টাকা খরচ পড়বে। এরপর আমাকে দেবেন। আমি অফিসের ভেতরে গিয়ে ছবি তুলে ওই অফিসারের কাছে গিয়ে দিয়ে দেব। তার হাতে এক থেকে দেড় হাজার টাকা দিলেই হবে। আমাকে কত দেবেন-দিয়েন। আর আমি নিজেরটা করার সময় অফিসের লোককে দেড় হাজার টাকা দিয়েছি।
মামলা থাকলেও পুলিশ ভেরিফিকেশন করা যায় বলে জানান জালাল নামের এক দালাল। তিনি বলেন, নিজের দুই-চার-পাঁচশ টাকা না থাকলে কাজ করি না। মামলা থাকলে তেমন সমস্যা নেই। আমি মিডিয়া হিসেবে কাজ করবো। মামলা থাকলে নিয়মিত পাসপোর্টে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা খরচ হবে।
পাসপোর্টপ্রত্যাশী আব্দুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে চাওয়া হলে মামুন নামের পাসপোর্ট অফিসের সুপরিচিত ব্যক্তি (সক্রিয় দালাল) মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন বলেন, এখন টাকা বেশি লাগলে আমি কী করবো? পরে তো উনি (আব্দুর রহমান) চাপ দিয়ে ৭ হাজার টাকা ফেরত নিয়ে গেছে।
উৎপাত কমেনি দালালদের, নেওয়া হয় না ব্যবস্থা
জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ জয়পুরহাট সার্কেল ও ভূমি অফিসের রেকর্ড রুম একই এলাকায় পাশাপাশি হওয়ায় দালালরা ওসব দপ্তরেরও কাজ করেন। সেজন্য দালাল ধরতে ওই এলাকায় গত ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করেছিল র্যাব-৫। সেসময় ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে জরিমানাসহ কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। অন্য ১১ জনকে জরিমানা আদায় করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরও এই দপ্তরগুলোতে উৎপাত কমেনি দালালদের।
আরও পড়ুন
অভিযোগ উঠা পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী লিপটন তালুকদারের মুঠোফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আরেক কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হয়রানি করা বা টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।
এদিকে অফিসের লোকজনের সঙ্গে দালালদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন জয়পুরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এ কে এম মোতাহার হোসেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, দালাল কোথায় আছে সেটা আমার জানা নেই। কারণ আমি অফিসের ভেতরটা দেখি। তাই দালালের বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। আমার দরজা সবার জন্য খোলা রেখেছি। কোনো অনিয়ম করলে আমাদের হেড অফিসের ফোন নম্বর আছে। সেখানে কল করে অভিযোগ জানাতে পারবে। অফিসের লোকজন বা আমার টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব ও মিথ্যা। তাছাড়া বিভিন্ন অনিয়মে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আনসারদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনসার সদস্যরা নতুন এসেছে। তারা এখন কী করছে সেটা আমার জানা নেই। আর উপর মহল ম্যানেজ করার বিষয়টি ভুয়া কথা।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে টাকা নিচ্ছে কি না এটা আমি দেখতে পারি। আমার কাজ হলো এ বিষয়ে রিপোর্ট করা। আমি ডিএসবিকে দিয়ে রিপোর্ট করাতে পারি। ঢাকা পোস্টকে এসব জানিয়ে পাসপোর্ট অফিস নিয়ে তেমন কথা বলতে রাজি হননি জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কেএমএ মামুন খান চিশতী।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগেও পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালানো হয়েছে। তাছাড়া আমরা সেখানে অভিযোগ বক্স রেখেছি। বিষয়টি দেখা হবে।
পাসপোর্ট অফিসের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক রোজী খন্দকারের মুঠোফোনে একাধিকার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এমজেইউ