যক্ষ্মা নির্মূলে রোগী শনাক্তই বড় চ্যালেঞ্জ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ১৯৯৩ সালে যক্ষ্মাকে গ্লোবাল ইমার্জেন্সি ঘোষণার পর থেকেই এক সময়কার ঘাতকব্যাধি এ রোগ নির্মূলে যুগোপযোগী নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেশকিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও।
সারা দেশের ন্যায় গাইবান্ধাতেও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক ৪ ও ১৬ মডিউলের জিন এক্সপার্ট মেশিন, এলইডিতে পরীক্ষা, ট্রুনাট মেশিন, সাধারণ এক্সরে এবং পোর্টেবল এক্সরে মেশিনে সম্ভাব্য যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত কার্যক্রম চলছে। এসবের পরেও গাইবান্ধায় আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে যক্ষ্মা এবং ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা (এমডিআর) রোগীর সংখ্যা।
বিজ্ঞাপন
২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২০ মার্চ পর্যন্ত এ জেলায় ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৭ জন। যা রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। আর চলতি বছরের ২২ মার্চ পর্যন্ত এ বছর জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৮১ জন।
যক্ষ্মা কর্মসূচি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্ভাব্য যক্ষ্মা রোগী শনাক্তে বিনামূল্যে সব ধরনের পরীক্ষা ও ওষুধ দেওয়া হলেও কমছে না রোগী। বরং নিত্যনতুন ধরনের যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও কেন আশানুরূপভাবে থামানো যাচ্ছে না এমডিআর কিংবা যক্ষায় আক্রান্তের সংখ্যা, এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে যক্ষ্মা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানান, যক্ষ্মা নির্মূলে বড় চ্যালেঞ্জ রোগী শনাক্ত। এ ছাড়া রোগ সম্পর্কে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতির ধারণা না থাকা এবং অসচেতনাকেই দায়ী করেন তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে বছরে প্রতি লাখে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে ২২১ জন। আর বছরে মারা যায় ২৪ জন রোগী।
বিজ্ঞাপন
রাজশাহী চেস্ট ডিজিজ হসপিটালের (সিডিএইচ) এর তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে চলতি বছরের ২০ মার্চ পর্যন্ত রংপুর বিভাগে মেডিসিন রেজিস্টেন্স টিউবারক্লোসিস (এমডিআর) বা ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ১২৫ জন। বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গাইবান্ধায়। এই জেলায় এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ জন। এর মধ্যে গত বছর একজন এবং চলতি বছরে একজনসহ মৃত্যুও হয়েছে দুইজনের। এ বিভাগের সব থেকে কম রোগী (৫ জন) কুড়িগ্রামে।
অপরদিকে, গাইবান্ধার ন্যাশনাল টিউবারক্লোসিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম বা জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি) সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে গাইবান্ধায় যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬০৩ জন। যার মধ্যে পজিটিভ রোগী ২ হাজার ৬০৯ জন। এ ছাড়া এক্সট্রাপালমোনারি (ইপি) ৮৫৫ জন ও শিশু রোগীর সংখ্যা ১০২ জন। আর চলতি বছরের ২২ মার্চ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৮১ জন।
যক্ষ্মা কর্মসূচির একাধিক ফিল্ড অর্গানাইজারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যক্ষ্মার সকল লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও মানুষ সহজে প্রকাশ করতে চায় না। যার মূলে রয়েছে সমাজের কুসংস্কার, লোকলজ্জা ও রোগের ব্যাপারে অজ্ঞতা, অবহেলা ও অসচেতনতা। তারা বলেন, একজন সম্ভাব্য রোগীকে নানাভাবে বোঝানোর পরও কাশি পরীক্ষার জন্য কফ দিতে চান না এবং এক্সরে করতে চান না। কফপট নিলেও অবহেলা ও নানান অজুহাতে তা ফেরত দেন।
এ ছাড়া তারা আরও জানান, যক্ষ্মা পজিটিভ রোগীর পরিবারের সদস্যদের মাঝে যক্ষ্মার পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে টিপিটি (টিবি প্রিভেনটিভ থেরাপি) দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে তাদের আরও বেশি জটিলতায় পড়তে হয়। কেননা, রোগীর স্বজনরা সুস্থতা দাবি করে কোনোভাবেই টিপিটির আওতায় আসতে চান না।
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) রংপুর বিভাগীয় টিবি এক্সপার্ট ডা. রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, যক্ষ্মা হচ্ছে একটি বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক ব্যাধি যেটা মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস জীবাণুর সংক্রমণে হয়ে থাকে, যা হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে বাতাসের সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে থাকে। যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ একনাগাড়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি। সে ক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে রক্ত আসতেও পারে, নাও আসতে পারে। এ ছাড়া রোগীর ওজন কমে যাওয়া, ধীরে ধীরে শরীর দুর্বল হতে থাকা, ক্ষুধামন্দা, বিকেলে-সন্ধ্যায় জ্বর হওয়া। ঘামের সঙ্গে ভোররাতে জ্বর ছেড়ে যাওয়া ও বুকে-পিঠে ব্যথা হওয়া যক্ষ্মার লক্ষণ। এসব লক্ষণ যদি কোনো ব্যক্তির মাঝে থাকে তাহলে সম্ভাব্য যক্ষ্মা রোগী হিসেবে তাকে পরীক্ষা করাতে হবে। শনাক্ত হলে নিয়মিত পূর্ণ মেয়াদে ওষুধ খেলে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ রূপে ভালো হয়।
এ চিকিৎসক জানান, যক্ষ্মা কেবল হাত-পায়ের নখ, দাঁত এবং চুলে আক্রান্ত হতে পারে না। তাছাড়া এটি মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে শরীরের অস্বাভাবিক গুটি, ফোঁড়া, ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি, হাড়, জরায়ু এবং অস্ত্রোপচারস্থলসহ শরীরে রক্ত সঞ্চালন হয় এমন যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় যক্ষ্মা হতে পারে। সেক্ষেত্রে শরীরের যে অংশে যক্ষ্মার জীবাণু সংক্রমিত হবে সেই অংশটি ফুলে উঠবে।
তিনি আরও জানান, রোগটি সাধারণত ঘনবসতিপূর্ণ ও দারিদ্র্যপ্রবণ অঞ্চলে বেশি প্রভাব বিস্তার করে থাকে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এ জীবাণু থেকে তাদেরই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী, মাদকাসক্ত ব্যক্তি, অপুষ্টি, দরিদ্রতা, পরিবেশ দূষণ এবং সঠিক সময়ে সকল রোগী শনাক্ত না হওয়া যক্ষ্মার হার বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কর্মসূচির বর্তমান সফলতা প্রসঙ্গে ডা. রানা বলেন, রোগী চিহ্নিত ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। ৯৬ ভাগ রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা যাচ্ছে। এনটিপি এবং সহযোগী সংস্থাগুলো গত কয়েক দশকে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে যেখানে প্রতি ১ লাখে প্রায় ৪৫ জন লোকের মৃত্যু হত, বর্তমানে তা ২২ জনে নেমে এসেছে।
এমডিআর রোগী প্রশ্নে রাজশাহী চেস্ট ডিজিজ হাসপাতালের (সিডিএইচ) আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শোভন পাল বলেন, এমডিআর যক্ষ্মা রোগী প্রধানত দুইভাবে হয়ে থাকে। এক, সরাসরি ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী জীবাণু দ্বারা, দুই যক্ষ্মা পজিটিভ শনাক্ত রোগী যদি অনিয়মিত ওষুধ খায়, কিংবা অনেকেই সেরে উঠেছেন ভেবে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দেন। সে ক্ষেত্রে পরবর্তীতে এসব রোগী এমডিআর (ওষুধ-প্রতিরোধী যক্ষ্মা) হিসেবে চিহ্নিত হয়। এসব রোগীর যক্ষার স্বাভাবিক ওষুধে আর কোনো কাজ হয় না।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, যক্ষ্মা দীর্ঘমেয়াদি রোগ হওয়ায় এর জন্য দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ খেতে হয়। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রোগের ধরন, মাত্রা এবং রোগীর বয়স অনুসারে ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ করতে ৬ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত এমনকি রোগীর কন্ডিশন অনুযায়ী আরও দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। এসবের ব্যত্যয় হলে অনেক সময় রোগীর মৃত্যুও হয়। এমন অবস্থায় যক্ষ্মা রোগীদের ধৈর্যের সঙ্গে নির্দিষ্ট মাত্রা অনুযায়ী পুরো মেয়াদে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। সঠিক সময় চিকিৎসা না নিলে এই জীবাণু শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে রোগীর মৃত্যু হতে পারে এবং একজনের মাধ্যমে ১০ থেকে ১৫ জনের মধ্যে জীবাণুটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যক্ষ্মা এবং এমডিআর রোগী কমাতে যক্ষ্মা আক্রান্তদের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি, যক্ষ্মা রোগীর তত্ত্বাবধানে থাকা সংশ্লিষ্টদের আরও সজাগ হওয়া, অস্বাস্থ্যকর ও ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকা মানুষগুলোকে নিয়মিত পরীক্ষার আওতায় নেওয়া, কোনো জীবাণুবাহী রোগী হাসপাতালে আসার আগেই রোগ শনাক্ত করা, কেউ যাতে মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে না দেন সে বিষয়ে নজরদারি করা, শনাক্ত রোগীদের চিকিৎসার দুই, তিন ও পাঁচ মাসের নিয়মিত ফলোআপ এবং যক্ষ্মায় আক্রান্ত গরিব মানুষদের চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এ ছাড়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ধর্মীয় নেতা (ইমাম, মুয়াজ্জিন, ঠাকুর) ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত জরুরি বলেও মনে করেন এই চিকিৎসক।
রোগী রেজিস্ট্রেশন ও পরামর্শসহ সকল কার্যক্রম সরকারিভাবে করা হলেও রোগী শনাক্তের চ্যালেঞ্জিং কাজটা করে থাকে ব্র্যাক, আইসিডিডিআরবির মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে ব্র্যাক যক্ষ্মা কর্মসূচির (বিএইচপি টিবি) গাইবান্ধার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার (ডিএম) নাজমুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও ব্র্যাক যৌথভাবে ১৯৯৩ সাল থেকে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গাইবান্ধা এই রোগ নির্মূলে শ্রেণিভেদে মাঠ পর্যায়ে ব্র্যাকের ৫৬ জন কর্মী সরাসরি কাজ করছে এবং তাদেরকে সহযোগিতায় জেলায় ৩ হাজার ২০০ স্বাস্থ্যসেবিকা কাজ করছে। আমরা সরাসরি রোগীর কাছ থেকে কফ কালেকশন করে হাসপাতালের পরীক্ষার জন্য জমা দিচ্ছি। পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা রোগীদের ওষুধ খাওয়ানো এবং নিয়মিত ফলোআপ এবং টিপিটির ব্যবস্থা করছি। অতি দারিদ্র রোগী, পরিবহন শ্রমিক, রিকশাচালক, ইটভাটা শ্রমিকসহ এই ক্যাটাগরির পরিবারের রোগীদের পরীক্ষার জন্য যাতায়াত খরচ এবং পুষ্টিকর খাবারের জন্য অর্থ সহায়তা করা হচ্ছে। শিশুদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসায় অর্থ সহায়তা এবং ডট প্রোভাইডারদের ভাতা প্রদান করে রোগীদের ওষুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে চলেছে ব্র্যাক।
২০৩৫ সালের মধ্যে সারাবিশ্ব থেকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় এটি কতটা সহজ হবে এমন প্রশ্নে এই কর্মকর্তা বলেন, দেশে যক্ষ্মা নিয়ে অনেক কাজ হলেও ২০৩৫ সালের মধ্যে এটি নির্মূল করা অত্যন্ত কঠিন। কেননা, একদিকে মানুষ যেমন সচেতন নয়, অপরদিকে রোগী শনাক্তও অত্যন্ত কঠিন। ফলে ২০৩৫ সালের মধ্যে এ রোগ নির্মূল সম্ভব নয়। তবে, ওই সময়ের মধ্যে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মো. আবু হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিসহ সব পরিকল্পনাই রয়েছে আমাদের। যক্ষ্মা নির্মূলে জেলার সরকারি বক্ষ্যব্যাধি ক্লিনিক, সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক এমনকি জেলখানা ও গার্মেন্ট কর্মীদের চিকিৎসাকেন্দ্র ছাড়াও ব্র্যাকসহ বেসরকারি আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বহু সংখ্যক ল্যাবরেটরিতে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় হচ্ছে। এজন্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে সংযুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতিও। এরপরও যক্ষ্মা নির্মূলে যতটুকু সংকট আর চ্যালেঞ্জ রয়েছে আমরা তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করছি আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূল করা সম্ভব হবে।
এমজেইউ