পূর্বশত্রুতার জেরে শিক্ষার্থীকে পেটালেন শিক্ষক

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পূর্বশত্রুতার জেরে হাসানুর রহমান হিমেল (২৮) নামের এক কলেজশিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেছেন রফিকুল ইসলাম নামের এক প্রভাষক ও তার লোকজন। গুরুতর আহত হিমেল বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পশ্চিম নওদাবাস গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে আহত হিমেল বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মোট ছয়জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই এলাকার জোনাব আলীর ছেলে ও হাতীবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন কলেজের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, মৃত নেহাল উদ্দিনের ছেলে রহিম বকস, রহিম বকসের ছেলে আশরাফুল, রিসালত, করিম বকসের ছেলে আহসান হাবিব দিপু ও টংভাঙ্গা ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আফসার আলীর ছেলে খোরশেদ আলম বাবলু।

গুরুতর আহত হাসানুর রহমান হিমেল উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পশ্চিম নওদাবাস গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি ঢাকা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। রফিকুল ইসলাম সম্পর্কে হিমেলের মায়ের চাচাতো ভাই।

জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জেরে রোববার সকালে রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন হিমেলের বসতবাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালান। এ সময় হিমেল তাকে বাধা দিলে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় হিমেলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।

রোববার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, আহত হিমেল হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। তার সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন, পিঠে লালচে দাগে ছেয়ে ও ফুলে গেছে।

হিমেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার মামাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিকভাবে বিবাদ চলে আসছিল। এ নিয়ে মামলা চলমান। পূর্বশত্রুতার জেরে রোববার সকালে রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালান। আমি বাধা দিলে তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান আমাকে। এতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এর সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের ফোনে কল করা হলে তিনি ধরেন। তবে সাংবাদিকের পরিচয় দিতেই তিনি কলটি কেটে দেন। পুনরায় চেষ্টা করলে তিনি আর ফোন ধরেননি।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এনএ