‘ঈদের আগে আমডার এইডি দরকার আসিলো’
‘ঈদের আগে আমডার এইডি দরকার আসিলো। হগলেই ঈদে অনেক কিছু কিনতো পারে, কিন্তু আমাডার তো এই মুরুদ নাই। তাইনেরার মতো বড় মানুষরা দিলেই আমডার ঈদ হয়।’
এভাবেই বলেছিলেন স্মাইল ইন লাইফ ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার নিতে আসা হতদরিদ্র তহুরা বেগম। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সহজ পাঠশালা স্কুল প্রাঙ্গণে তিন হাজার মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে সংস্থাটি ৷
বিজ্ঞাপন
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ ইকবাল খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ড্রিম ফর ডিস এব্যালেটির প্রতিষ্ঠাতা হেদায়েতুল আজিজ মুন্না, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন, দৈনিক বাংলা ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি মাজহারুল করিম অভি প্রমুখ।
জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে স্মাইল ইন লাইফ ফাউন্ডেশন। যাত্রা শুরু থেকে প্রতি বছরই হতদরিদ্রদের মাঝে এই ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। পূর্বের ন্যায় এবারও সংগঠনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩০টি প্রান্তিক অঞ্চলের তিন হাজার হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের উপহার বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ন্যায় সোমবার বেলা ১১টায় জেলা শহরের সহজ পাঠাশালার প্রাঙ্গণে প্রথম ধাপে ২০০ জনকে দিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়।
বিজ্ঞাপন
উপহার নিতে আসা রোকসানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা খুব খুশি। স্যারেরা আমডারে ঈদের কাপড় দিসে। সাথে আমার দুইটা বাচ্চাও কাপড় পাইসে। অহন এই কাপড় দিয়া ঈদ করবো।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ভালো কাজের সঙ্গে সবাই আছে এবং থাকবে। স্মাইল ইন লাইফ ফাউন্ডেশনের হতদরিদ্রদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। মানবকল্যাণময় তাদের এই কাজকে সাধুবাদ জানাই এবং আগামীতেও তারা সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে থাকবে বলে আশা করি।
স্মাইল ইন লাইফ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ ইকবাল খান বলেন, সংস্থাটির মূল কাজ হচ্ছে মানবসেবা। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্মাইল ইন লাইফ ফাউন্ডেশন অসহায় বৃদ্ধ, পথশিশুদের সহায়তা করে আসছে। তাছাড়া শিক্ষাবঞ্চিত শিশু যারা অর্থের অভাবে পড়ালেখা করতে পারে না তাদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়াসহ মানবকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। আগামীতেও মানবকল্যাণে যেসকল কাজ করা প্রয়োজন সেটি করার চেষ্টা করবো।
মাজহারুল করিম অভি/এমজেইউ