ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট নেই
ঈদযাত্রায় উত্তরবঙ্গের মানুষদের এক দুঃস্বপ্নের নাম ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক। প্রতিবছরই ঈদযাত্রায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হতো যানবাহনকে। তবে এবার ঈদের ছুটি শুরু হলেও টাঙ্গাইলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়েনি। স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে উত্তরবঙ্গের যানবাহন।
মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছে, বিকেলের পর থেকে পরিবহনের সংখ্যা বাড়তে পারে মহাসড়কে। এতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কে অন্যান্য দিনের মত স্বাভাবিক গতিতেই উত্তরবঙ্গের যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া মহাসড়কে তেমন কোনো চাপ দেখা যায়নি।
ঈদযাত্রায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কের কিছু অংশ আলাদা করে লেন করা হয়েছে। এতে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে চরভাবলা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এবং বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বর থেকে জোকারচর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার মহাসড়কে আলাদা লেন চালু করা হয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়ে গেলে বিকল্প হিসেবে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা গাড়ি সেতুপূর্ব গোলচত্বর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে এলেঙ্গায় মহাসড়কে প্রবেশ করে ঢাকার দিকে চলাচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এই পদ্ধতি বিগত কয়েক বছর ধরে চলে আসছে।
বিজ্ঞাপন
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৫ হাজার ৮৪টি গাড়ি পারাপার হয়েছে। এরমধ্যে বাসের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৭টি, ট্রাক ৮ হাজার ৫৮১, ছোট বড় মিলিয়ে ৮ হাজার ৪২২টি এবং মোটরসাইকেল ২ হাজার ১৪টি। যানবাহনের বিপরীতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ বলেন, সকাল থেকেই মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে পরিবহন চলাচল করছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে পরিবহনের চাপ মহাসড়কে বাড়তে পারে।
অভিজিৎ ঘোষ/এএএ