বাগেরহাটে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শেষ হওয়ায় অনিশ্চয়তায় রয়েছেন নিবন্ধনকারীরা

বাগেরহাটে শেষ হয়ে গেছে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ। ফলে প্রথম ডোজ গ্রহণকারী ২২ হাজার নিবন্ধনকারীর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। নির্ধারিত সময়ে টিকা দিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিবন্ধনকারীরা।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের নবনির্মিত ১৫০ শয্যা ভবনের সামনে টিকা গ্রহণ প্রত্যাশীদের জটলা দেখা যায়। নির্ধারিত দিনে এসে টিকা দিতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকে।

দুই বোনকে সঙ্গে নিয়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা আলিমুজ্জামান বলেন, নিবন্ধন করে প্রথম ডোজ দিয়েছিলাম। আজকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার তারিখ ছিল। দুই বোনকে নিয়ে আসছি টিকা দিতে। টিকা শেষ আমাদের আগে জানাত, তাহলে আসতাম না। এই রোদের মধ্যে এসে ফিরে যাওয়া যে কত কষ্টের তা কিভাবে বোঝাব।

খানপুর, যাত্রাপুর ও মেহগনিতলা থেকে টিকা নিতে আসা আসাদ শেখ, অবন্তী দাস, মেহেরুন্নেছাসহ কয়েকজন বলেন, আজ আমাদের করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল। হাসপাতালে এসে দেখি, টিকাদান কক্ষে কেউ নেই। রেডক্রিসেন্টের একটা ছেলে বললো টিকা শেষ। টিকা দিবে না, আমাদের আগে জানিয়ে দিত। তাহলে আমরা আসতাম না।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু থেকেই আমরা প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শেষ করেছি। প্রথম ধাপে আমরা ৫৪ হাজার ৭৮৪ জনকে টিকা দিয়েছি। দ্বিতীয় ধাপে আমরা ৩৬ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছিলাম। 

এর মধ্যে প্রায় ৩২ হাজারের বেশি ডোজ টিকা প্রদান সম্পন্ন করেছি। আজকে সদর হাসপাতাল কেন্দ্রের টিকা শেষ হয়ে গেছে। টিকাদান কেন্দ্রের সামনে বড় ব্যানারে টিকা শেষ লিখে টানিয়ে দেওয়া হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও টিকা শেষের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে না পারলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এই টিকা কিছুদিন পর নিলেও কোন সমস্যা নেই। সরকার প্রদত্ত টিকা শেষ হওয়ায় আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। খুবই শিগগিরই আমরা নতুন কিছু ডোজ পাবো। আশা করি তখন অবশিষ্ট সবাইকে টিকা দিতে পারবো।

উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলায় প্রথম ধাপে ৫৪ হাজার ৭৮৪ জন নিবন্ধনকারী টিকা দিয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে ৩২ হাজার নিবন্ধনকারী টিকা গ্রহণ করেছেন। এই হিসেবে এখনও ২২ হাজার টিকা গ্রহণকারী দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে সরকার থেকে পাওয়া দ্বিতীয় ডোজ শেষ হওয়ায় অনিশ্চিয়তায় পড়েছেন নিবন্ধনকারীরা।

তানজীম আহমেদ/এসপি