ভোটের ফল ঘোষণার সময় ভাঙচুরের ঘটনায় আ. লীগ নেতা মনু কারাগারে
নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন ফলাফল ঘোষণার সময় উপজেলা পরিষদের হল রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় ময়নুল হক মনু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। একই মামলায় আরও পাঁচজন আসামি কারাগারে রয়েছেন।
রোববার (১২ মে) ভোরে ডোমার পৌর এলাকার চিকনমাটি ধনীপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে থানা-পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিজ্ঞাপন
ময়নুল হক মনু ওই এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। তিনি ডোমার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন আলী বলেন, আমরা ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করছি।
বিজ্ঞাপন
গত ৮ মে বুধবার রাত ৯টার দিকে ডোমার উপজেলা পরিষদের হল রুমে পরাজিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষে ডোমার উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে (কন্ট্রোল রুম) ফল ঘোষণার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে শতাধিক লোক লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এরপর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ১১টার দিকে ফল ঘোষণা করা হলে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন।
কারাগারের পাঁচ আসামি হলেন-উপজেলার ছোট রাউতা ফরেস্ট পাড়া এলাকার আবু সুফিয়ান (৪০), সদর ইউনিয়নের বড় রাউতা থানাপাড়া এলাকার রাকিউল ইসলাম (৪০), চিলাই পাগলা বাজার এলাকার মো. দুলু (৩৮), পশ্চিম বোড়াগাড়ি স্কুলপাড়া এলাকার রিমুন ইসলাম (২৪) ও পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মেলাপাঙ্গা এলাকার হারুন অর রশিদ (৩০)।
শরিফুল ইসলাম/আরকে