লংগদুতে দুইজনকে হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফের আধা বেলা অবরোধ
রাঙামাটির লংগদুতে প্রসীত বিকাশের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্যসহ দুজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সড়ক ও নৌপথে আধা বেলা অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউপিডিএফ। সোমবার (২০ মে) জেলায় ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাঙামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়িতে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে ইউপিডিএফ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে ইউপিডিএফ সংগঠক বাবলু চাকমার সভাপতিত্বে ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নিশি চাকমার সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ধর্মশিং চাকমা।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসনবিধি (১৯০০ সালের রেগুলেশন) বাতিল করার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ যখন আন্দোলন গড়ে তুলেছে ঠিক সে সময় সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও আন্দোলন বানচাল করে দেওয়ার জন্য সন্তু লারমা তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দিয়ে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন চাকমা ও সমর্থক ধন্যমতি চাকমাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সন্তু লারমা জনগণের স্বার্থের বিপরীতে গিয়ে সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, ৯৭ সালে চুক্তির নামে সন্তু লারমা জনগণের সঙ্গে বেঈমানি করেছেন, এখন জনগণের পক্ষে যারা আন্দোলন করছেন তাদেরকে হত্যা করে সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। এ সময় তারা সন্তু লারমাকে খুনি-সন্ত্রাসীদের গডফাদার আখ্যায়িত করে তাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাটের পার্শ্ববর্তী স্থানে একটি সশস্ত্র দল ইউপিডিএফ কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্যমতি চাকমা (৩৫) নিহত হন।
মিশু মল্লিক/এএএ