এক বোটে পাওয়া গেল ৪০ মণ ইলিশ, ৯ লাখে বিক্রি
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বঙ্গোপসাগরে ৫ দিনে এক বোটে ৪০ মণ ইলিশ পাওয়া গেছে। যা নিলামে ৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের আল্লারদান মৎস্য আড়তে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, ৫ দিন আগে ২১ জন জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের রহমত ঘাট এলাকার জেলে নাজিম মাঝি। এ সময় তিনি মোট ৪০ মণ ইলিশ মাছ পান। শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটের আড়তদার মো. আকবর হোসেনের আল্লাহর দান মৎস্য আড়তে নিয়ে আসলে বিভিন্ন ধাপে এই ৪০ মণ ইলিশ নিলামে ৯ লাখ ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আল্লাহর দান মৎস্য আড়তের মালিক মো. আকবর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২১ জন জেলে মাছগুলো পাঁচ দিনে ধরেছে। দুপুরে বোটটি চেয়ারম্যান ঘাটে এসেছে। বিভিন্ন সাইজের মাছ ছিল। তবে ছোট সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ছিল। নিলামে দাম তুলতে তুলতে শেষ পর্যন্ত ৪০ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা। আজকে মাছ বেশি থাকায় দাম কম পেয়েছে। অন্যান্য সময় হলে এই মাছগুলোর দাম কম হলেও ২০ লাখ টাকার উপরে হতো।
বোটটির মালিক নাজিম মাঝি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি বোটের প্রধান মাঝি তবে আমাদের মূল মালিক হলেন মো. বাবুল মিয়া। আমাদের মেঘনা নদীতে ইলিশ কম। তাই মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে গিয়েছি । সেখান থেকে আসতে আমাদের ১০-১২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এবার মাছগুলো আকারে ছোট ছিল। তারপরও আমরা খুশি।
বিজ্ঞাপন
হাতিয়া মৎস্য সমিতির সভাপতি ও হরণী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, হাতিয়ার ৫০০ বোট সাগরে মাছ আহরণ করে। সব বোট সমানভাবে মাছ পায় না। একেকজনের ভাগ্য একেক রকম এক সপ্তাহ ধরে নদীতে মাছ ধরা পড়ছে। হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের বাবুল মিয়ার বোট নিয়ে নাজিম মাঝি সাগরে যান। তারা ভালো মাছ পেয়েছেন। ৪০ মণ মাছ ৯ লাখ ১৪ হাজারে বিক্রি হয়েছে। তবে ২০ তারিখ থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে। এমন সংবাদে জেলেরা ভেঙে পড়েছে। অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে আছে।
হাসিব আল আমিন/আরএআর