ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী

হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব ইস্যুতে নিজের বক্তব্য টেলিভিশনে খণ্ডিত আকারে প্রচার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। এতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি বিবৃতি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তিনি এ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তিনি জানান, হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডব নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঁচ এমপির কোনো প্রতিক্রিয়া নেই উল্লেখ করে বেসরকারি টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রচার হয়েছে। তাতে আমার বক্তব্য খণ্ডিত আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য প্রচার হলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতো না। 

২৭ এপ্রিল প্রচারিত ওই প্রতিবেদনে বাপ্পী তার বক্তব্যে বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এলাকায় (কসবা) এসেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রীর সাবেক এপিএস ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন। 

বাপ্পীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ২৮ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জীবন।

সাংবাদিক বাপ্পী তার পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা আমি সংক্ষিপ্তভাবে বলি এবং সেটি একটি টিভির ইউটিউব চ্যানেলে আরও সংক্ষিপ্ত আকারে প্রচারিত হয়। আমার পুরো বক্তব্যটি প্রচারিত হলে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতো না। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সবার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, আমার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে আমার দৃষ্টিগোচর হয়। আমি বলতে চাই, ওই টিভির অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমার পুরো বক্তব্যটি প্রকাশিত হয়েছে। সেটি পড়লে কোনো ভুল-বোঝাবুঝি হতো না। রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবনের প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোনো আক্রোশ বা বিদ্বেষ নেই। এর আগেও একটি সংবাদকে কেন্দ্র করে জীবনের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকেসহ ছয় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল।

আজিজুল সঞ্চয়/এএম/এইচকে