চাকরির কথা বলে কোটি টাকা নেওয়া হারুনকে বেঁধে রাখল গ্রামবাসী
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার ও মির্জাপুরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯ ফোন করে মির্জাপুর থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী। এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন পদে লোকজনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই উপজেলার ২৫টি পরিবারের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হারুন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার চরঘোগী এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে।
দেড় বছর আগে দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণার জাল ফেলে নিজেকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহকারী পরিচালক (এডি) পরিচয় দেন হারুন। পরে স্থানীয়দের ভুয়া আইডি নিয়োগপত্র বেতনের রশিদসহ বিভিন্ন কাগজপত্র দেখায়। এতে করে সাধারণ মানুষ সহজেই তাকে বিশ্বাস করে। এক পর্যায়ে এলাকার অনেকের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে স্থানীয় যুবকদের চাকরি দেওয়ার কথা বলে অনন্ত ২৫ জনের কাছ থেকে ১০ থেকে ২৪ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন। এছাড়া স্বর্ণের ব্যবসার কথা বলে ৭০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘদিন পর গতকাল সোমবার রাতে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটিতে হারুন অর রশিদ তার বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকজন পাওনাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে মির্জাপুর উপজেলার দেওরা গ্রামে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পাওনাদাররা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউই আসেনি। পরে পাওনাদারদাররা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
বিজ্ঞাপন
মির্জাপুরের বানাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফয়সাল খান বলেন, হারুন নিজের এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ওই প্রতারককে জনগণ ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
অভিজিৎ ঘোষ/এমএএস