জয়পুরহাট সদরে জামানত হারাচ্ছেন ৯ প্রার্থী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জয়পুরহাট সদরে তিনটি পদে মোট ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে তিন চেয়ারম্যানপ্রার্থীসহ জামানত হারাচ্ছেন নয় প্রার্থী। মঙ্গলবার (২১ মে) ভোটগ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।
নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম হয়, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
বিজ্ঞাপন
রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত ফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে তিনজন প্রার্থী জামানত হারাতে যাচ্ছেন। একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪৫ জন। ৮২টি কেন্দ্রের ৬৪১টি কক্ষে ভোট পড়েছে ৮৯ হাজার ৫৭২ টি। এর ১৫ শতাংশ ভোট হচ্ছে ১৩ হাজার ৪৩৬টি, যা পাননি তিনজন চেয়ারম্যানপ্রার্থী।
জামানত হারাতে যাওয়া তিন প্রার্থী হলেন- সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া প্রতীক- ২ হাজার ৯৭৪ ভোট), জেলা যুবলীগের সদস্য খাজা শামছুল আল আমীন (দোয়াত কলম- ২ হাজার ১০ ভোট) ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ- ৩৬৭ ভোট)।
বিজ্ঞাপন
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান মিঠু ৭ হাজার ৪৮৫ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি প্রথমবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ ই এম মাসুদ রেজা আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৮৫ ভোট।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের পাঁচজন জামানত হারাচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৯০ হাজার ২১৯টি। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট ১৩ হাজার ৫৩৩টি পাননি পাঁচ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তারা হলেন- মুনছুর রহমান (মাইক প্রতীক- ১১ হাজার ৬১৯ ভোট), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব -১০ হাজার ৬০৫ ভোট), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ প্রতীক – ৯ হাজার ৪১০ ভোট), আলী আকবর মো. ইজাহারুল ইসলাম (চশমা প্রতীক- ৭ হাজার ৪৭০ ভোট) ও উজ্জ্বল মিনজী (টিয়া পাখি- ৫ হাজার ১৯৯ ভোট)। এখানে আশোক কুমার ঠাকুর টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সি.এম আফরাঈম কাবীর তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৪০ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন এক প্রার্থী। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৮৯ হাজার ৪৯৭টি। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট ১৩ হাজার ৪২৪টি পাননি মোছা. নাছিমা আক্তার। তিনি বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৮১ ভোট। এখানে হাঁস প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে মোছা. আছমা বিবি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা রহমান বিথী ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭২৮ ভোট।
চম্পক কুমার/এমজেইউ